খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, কলকাতাঃ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের কলকাতার প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো ও চুঁচুড়ার রিজিওনাল আউটরিচ ব্যুরো ‘জন আন্দোলন- উৎসবের সময়ে সকলে ভালো থাকুন’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনার আজ আয়োজন করেছিল। বেলুড় মঠের রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সহকারী সাধারণ সম্পাদক স্বামী সত্যেশানন্দজী মহারাজ জানিয়েছেন, বেলুড় মঠে প্রতি বছর পুজোর সময় বহু ভক্তের সমাগম হয়। কিন্তু কোভিডের এই পরিস্থিতে তাঁরা অন্যান্য বছরের মতো এবছর সাধারণ মানুষের জন্য মঠের দরজা খুলে রাখতে পারলেন না। তবে মানুষের যাতে ভাল হয় তার জন্য তাদের গৃহিত এই উদ্যোগকে সকলে মেনে নিয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। স্বামী সত্যেশানন্দজী আরও জানিয়েছেন এবছর ভক্তবৃন্দ ভার্চুয়ালি তাঁদের সমস্ত পুজোর আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসার ডঃ পারভীন বানু বলেছেন, কোভিড মহামারীর সময়ে সকলেরই জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত নিয়মগুলি মেনে চলা প্রয়োজন। উৎসবের মরশুমে বিপুল জনসমাগম হলে রোগ সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। তাই এবারের উৎসবে সাবধানতা অবলম্বনের জন্য তিনি সকলকে পরামর্শ দেন।
সল্টলেকের এফডি ব্লক পুজো কমিটির সভাপতি শ্রী বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন তাঁরা সরকারি নিয়ম মেনে এবারের পুজোর আয়োজন করছেন। তবে দুর্গাপুজোয় প্রসাদ এবং ভোগ থেকে এলাকাবাসী যাতে বঞ্চিত না হন তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন। শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রতিবছরের মতো এবছরেও তাঁরা শারোদৎসব উপলক্ষে সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করেছেন। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানটি অনলাইনে দেখানো হবে। এছাড়াও দরিদ্র মানুষদের সাহায্যার্থে তাঁদের মন্ডপের বাইরে মাস্ক বিক্রির বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সাংবাদিক শ্রী তাপস চক্রবর্তী জানিয়েছেন এই মহামারীর কারণে সাধারণ মানুষ যাতে আতঙ্কিত না হন, সংবাদ মাধ্যমকে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। সংবাদ মাধ্যমের সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য কি ভূমিকা পালন করা উচিত তিনি সে বিষয়েও বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিনি-র সহকারী নির্দেশক শ্রীমতি মিতুন বসু বলেছেন, এই মহামারী প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পরামর্শ অনুসারে সকলের শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা উচিত। বাড়ির বাইরে বেরোনোর সময় মাস্ক পরতে ভুলে গেলে চলবে না এবং নিয়মিত হাত ধোয়া অত্যন্ত জরুরি। জনস্বাস্থ্য বিধি মেনে তাদেরকে নিয়মিতভাবে হাত ধোয়ার তিনি পরামর্শ দিয়েছেন।
এই অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পিআইবি কলকাতার ডেপুটি ডিরেক্টর শ্রীমতি চিত্রা গুপ্ত এবং চুঁচুড়ার ফিল্ড আউটরিচ ব্যুরোর ফিল্ড পাবলিসিটি অফিসার শ্রী সন্দীপন দাশগুপ্ত। সূত্র – পিআইবি।