কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পিআইবি’র প্রাত্যহিক সংবাদ

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ ভারতে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের হার লাগাতার নিম্নমুখী; পরপর তিনদিন সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লক্ষের নিচে; জাতীয় স্তরে আক্রান্তের হার পরপর চারদিন ৮ শতাংশের নিচে

কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত আরও একটি মাইলফলক অতিক্রম করেছে। জাতীয় স্তরে আক্রান্তের হার আরও কমে দাঁড়িয়েছে ৮ শতাংশ। পরপর চার সপ্তাহ নিরবচ্ছিন্নভাবে এই প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। দেশে এখন সামগ্রিকভাবে করোনায় আক্রান্তের হার ৭.৯৪ শতাংশ, যা ক্রমশ নিম্নমুখী। সারা দেশে সুসংবদ্ধ নমুনা পরীক্ষায় অগ্রগতির প্রবণতা অব্যাহত থাকার দরুণ এই সাফল্য মিলেছে। দেশে আজ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ৯ কোটি ৫০ লক্ষ ছাড়িয়েছে। একাধিকবার প্রমাণিত হয়েছে যে অধিক সংখ্যায় নমুনা পরীক্ষার ফলে আক্রান্তের হারও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়। আক্রান্তের হার ক্রমশ নিম্নমুখী হওয়ায় এটা প্রমাণিত হয় যে, সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হচ্ছে। অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে দৈনিক ভিত্তিতে গড় আক্রান্তের হার ৬.১৩ শতাংশ। কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি, রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি কার্যকরভাবে ‘টেস্ট, ট্র্যাক, ট্রেস, ট্রিট’ এবং টেকনলজি সংক্রান্ত রণকৌশল অবলম্বন করায় আক্রান্তের হার কমানো সম্ভব হচ্ছে। ভারতে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা নিরন্তর কমছে। এ নিয়ে পরপর তিন সপ্তাহ এই সংখ্যা ৮ লক্ষের নিচে রয়েছে। সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আজ পর্যন্ত কমে দাঁড়িয়েছে ৭ লক্ষ ৭২ হাজার ৫৫। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের তুলনায় সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের হার কেবল ১০.২৩ শতাংশ। সুস্থতার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৬ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬০৮। এর ফলে, সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এবং আরোগ্য লাভের মধ্যে ফারাক ক্রমশ বাড়ছে। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৬৬,৩৯৯ জন করোনা রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন। অন্যদিকে, নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫,৭৭২ জন। জাতীয় স্তরে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৮৮.২৬ শতাংশ। ১০টি রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে সদ্য আরোগ্য লাভকারীদের ৭৯ শতাংশই রয়েছেন। এই রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গও রয়েছে। কেবল মহারাষ্ট্র থেকেই একদিনে ১১ হাজারের বেশি রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন। এছাড়াও, কেরল ও কর্ণাটক থেকে আরোগ্য লাভের সংখ্যা ৮ হাজারের বেশি। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ৫৫,৭২২ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এই আক্রান্তদের মধ্যে ৮১ শতাংশই ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। সর্বাধিক ৯ হাজারের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন মহারাষ্ট্র থেকে। এছাড়াও, কেরল ও কর্ণাটক থেকে নতুন করে ৭ হাজারের বেশি ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাজনিত কারণে ৫৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ৯০ দিন পর দৈনিক ভিত্তিতে মৃত্যুর সংখ্যা ৬০০-র নিচে নেমে এসেছে। গত ২৪ ঘন্টায় করোনাজনিত কারণে যে ৫৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে প্রায় ৮৩ শতাংশই রয়েছেন ১০টি রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। সর্বাধিক ১৫০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে মহারাষ্ট্র থেকে।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1665754 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

কোভিড-১৯ মহামারীর পরিস্থিতি এবং টিকা উদ্ভাবন, বন্টন ও টিকাকরণের বিষয়ে বৈঠকের পৌরহিত্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ কোভিড-১৯ মহামারীর ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি পর্যালোচনা বৈঠকে পৌরহিত্য করেছেন। বৈঠকে টিকা উদ্ভাবন, বন্টন এবং টিকাকরণের প্রস্তুতি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী শ্রী হর্ষ বর্ধন, প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব, নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিভাগের সদস্য, মুখ্য বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা, বর্ষীয়ান বিজ্ঞানী এবং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় দপ্তরের আধিকারিকরা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছেন। কোভিডের দৈনন্দিন সংক্রমণ ক্রমশ কমছে ও সুস্থ হওয়ার হার বাড়ছে বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। ভারতে বর্তমানে ৩টি টিকা নিয়ে কাজ চলছে। এরমধ্যে ২টি টিকা দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক স্তরে ও একটি টিকা তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক স্তরে রয়েছে। আফগানিস্তান, ভুটান, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মরিশাস, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার মতো প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে একযোগে ভারতীয় বৈজ্ঞানিক ও গবেষকরা কাজ করছেন। বাংলাদেশ, মায়ানমার, কাতার এবং ভুটান পরীক্ষামূলকভাবে টিকা প্রয়োগের জন্য তাদের দেশে এ সংক্রান্ত কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সাহায্য করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, আমাদের উদ্যোগ শুধুমাত্র প্রতিবেশীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সারা বিশ্বের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে, যাতে সমস্ত পৃথিবী টিকা, ওষুধ এবং টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা পায়। রাজ্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রুপ অন ভ্যাকসিন অ্যাডমিনিসট্রেশন ফর কোভিড-১৯ (এনইজিভিএসি) টিকার সংগ্রহ, বন্টন ও টিকাকরণ প্রক্রিয়ার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে এবং এ বিষয়ে বৈঠকে বিশদে জানিয়েছে। রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী টিকাকরণের বিষয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1665476 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

আরও পড়ুন -  Constitution Day: সংবিধান দিবসে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পরিবারতন্ত্র দেশের পক্ষে বিপজ্জনক’’

ডাঃ হর্ষবর্ধন সানডে সংবাদের ষষ্ঠ পর্বে সকলকে শারদ নবরাত্রির শুভেচ্ছা জানালেন; উৎসবের এই মরশুমে আনন্দ উপভোগের তুলনায় দানের মানসিকতাকে প্রধান্য দিতে হবে

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ হর্ষবর্ধন সানডে সংবাদের ষষ্ঠ পর্বে আজ একাধিক জিজ্ঞাসু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের উত্তর দেন। নবরাত্রি উৎসবের জন্য তাঁর আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে ডাঃ হর্ষবর্ধন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ফলোয়ারদের কোভিড আদর্শ আচরণ অনুসরণ সযত্নে অনুসরণ করার এবং প্রধানমন্ত্রী যে জনআন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছেন, তাঁকে যথাযোগ্য সম্মান জানানোর অনুরোধ করেন। তিনি পুনরায় প্রত্যেককে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, পরম্পরাগত পদ্ধতি মেনে বাড়িতে প্রিয়জনদের সঙ্গে উৎসব উদযাপন করতে। উৎসবের এই মরশুমে আনন্দ উপভোগের তুলনায় দান করার মানসিকতাকে প্রাধান্য দিতে হবে মন্তব্য করে ডাঃ হর্ষবর্ধন বলেন, উৎসবের মরশুমে তাঁর ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে সামিল হওয়ার বিষয়টি এবার লক্ষ লক্ষ কোভিড-১৯ সেনানীদের প্রতি সম্মান জানাতে অনাড়ম্বরভাবে পালন করবেন। ডাঃ হর্ষবর্ধন সম্প্রতি কেরলে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গী প্রকাশ করে বলেন, গত ৩০শে জানুয়ারি থেকে তেসরা মে পর্যন্ত এই রাজ্যটিতে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা ছিল কেবল ৪৯৯ এবং মৃত্যু হয়েছিল মাত্র ২ জনের। তিনি ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, এই রাজ্যটিতে সম্প্রতি ওনাম উৎসবের সময় উদাসীনতা দেখানোর জন্য এখন মাশুল গুণতে হচ্ছে। পক্ষান্তরে, এর প্রভাব পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটনের ওপর। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেরলের এই সাম্প্রতিক ঘটনা উৎসবের মরশুমে উপযুক্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা কার্যকরভাবে রূপায়ণের জন্য সমস্ত রাজ্য সরকারের কাছে এক উপযুক্ত শিক্ষণীয় বিষয় হিসাবে সকলের সামনে সুস্পষ্ট হয়েছে। নোবেল করোনা ভাইরাস চীন থেকে একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল বলে যে দাবি করা হয়েছে, ডাঃ হর্ষবর্ধন সেব্যাপারে তাঁর অভিমত প্রকাশ করে বলেন, বিশ্বের অন্যত্র এই ভাইরাসের উৎস-স্থল হিসাবে কোনও প্রামাণ্য তথ্য নেই। তিনি আরও বলেন, চীনে উহান করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণের ঘটনার জন্য সারা বিশ্ব জুড়ে তা পরিচিত হবে। বাজারে চীনের তৈরি অক্সিমিটারের আধিক্য সম্পর্কে অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে ডাঃ হর্ষবর্ধন বলেন, বাজার থেকে বা অনলাইনে পালস্ অক্সিমিটার কেনার সময় গ্রাহককে দেখে নিতে হবে যে, এটি আইএসও/আইইসি সংক্রান্ত স্বতন্ত্র পরিচিতি রয়েছে কিনা। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের গঠনগত কোনও পরিবর্তন ভারতে দেখা যায়নি। তবে, ব্যাপক হারে সংক্রমণ ও রোগ-জীবাণুর সংস্পর্শে আসার ঘটনা প্রমাণিত হয়েছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1665634 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর এবং সিএসআইআর – এর স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলির প্রধান/নির্দেশকদের সঙ্গে কোভিড আদর্শ আচরণ সম্পর্কিত এক বৈঠকে পৌরহিত্য করলেন ডাঃ হর্ষবর্ধন

কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ডাঃ হর্ষবর্ধন কোভিড আদর্শ আচরণ সম্পর্কিত জনআন্দোলনের আওতায় গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপগুলি পর্যালোচনা করতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর এবং সিএসআইআর – এর অধীন স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলির প্রধান/নির্দেশকদের সঙ্গে শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মিলিত হন। মহামারীর বিরুদ্ধে দেশের সমবেত লড়াইয়ে আগামী কয়েক মাসের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে ডাঃ হর্ষবর্ধন বলেন, আমরা কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দশম মাসে প্রবেশ করতে চলেছি। গত ৮ই জানুয়ারি বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠীর প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, তখন থেকে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই নিরবচ্ছিন্নভাবে চলে আসছে। কিন্তু আজ আমরা গর্বের সঙ্গে একথা বলতে পারি যে, কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা কার্যকর পরিকাঠামো গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি। কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উদাসীনতা, অবজ্ঞা ও সাধারণ আচরণ সম্পর্কে জনগণকে সতর্ক করে দিয়ে ডাঃ হর্ষবর্ধন বলেন, আগামী দুই-আড়াই মাস কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। তাই, প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য সুরক্ষা বলয় ভেঙে না বেরোনোর এবং সংক্রমণ দমনে কোভিড আদর্শ আচরণগুলি যথাযথ অনুসরণ করার।

আরও পড়ুন -  হিটলারের আমলের জার্মানিতে যে পরিস্থিতি ছিল, একই পরিস্থিতি বর্তমানে বলিউডে: নাসিরুদ্দিন শাহ

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1665211 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির মূলধন ব্যয় সংক্রান্ত চতুর্থ পর্যালোচনা বৈঠকে অর্থমন্ত্রী

ভারতীয় অর্থনীতির বিকাশে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের কথা উল্লেখ করে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে তাদের মূলধনী ব্যয়ের ধার্য লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আরও ভালো কাজকর্ম করার জন্য উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই যাতে ধার্য মূলধনী ব্যয়ের উদ্দেশ্য পূরণ করা যায়, তার জন্য সংস্থাগুলিকে আগাম পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। পক্ষান্তরে, কোভিড-১৯ এর প্রভাব থেকে অর্থ ব্যবস্থার পুনরুদ্ধারে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। উল্লেখ করা যেতে পারে, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির মূলধনী ব্যয় পর্যালোচনা যৌথভাবে আর্থিক বিষয়ক দপ্তর এবং রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগ দপ্তর পরিচালনা করে থাকে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1665774 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমণ বিশ্ব ব্যাঙ্কের উন্নয়ন কমিটির ১০২তম বৈঠকের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে অংশ গ্রহণ করেছেন

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমণ, আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশ্ব ব্যাঙ্কের উন্নয়ন কমিটির ১০২তম বৈঠকের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে অংশ গ্রহণ করেছেন। বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয়গুলির মধ্যে ছিল বিশ্ব ব্যাঙ্কের বিশেষ গোষ্ঠীর কোভিড – ১৯ সঙ্কট মোকাবিলায় জীবন রক্ষা করা, সঙ্কটে উদ্ভুত বিরূপ পরিস্থিতির মোকাবিলা করা এবং ঋণ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মূদ্রা তহবিল ও বিশ্ব ব্যাঙ্কের যৌথ প্রতিবেদন বাস্তবায়ন। কোভিড – ১৯ মহামারীর প্রেক্ষিতে শ্রীমতী সীতারমণ, এপ্রিল মাসের শেষ বৈঠকের পর আজ পর্যন্ত উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির ওপর কি প্রভাব পড়েছে তা নিয়ে বিশদে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, দারিদ্র দূরীকরণের জন্য বহু বছর ধরে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে আজ তা সঙ্কটের সম্মুখীন। ভারত সরকার মহামারীর প্রতিরোধ এবং এর ফলে আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বিরূপ প্রতিক্রিয়া কমানোর জন্য কি কি উদ্যোগ নিয়েছে বৈঠকে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শ্রীমতী সীতারমণ জানিয়েছেন সরকার, দরিদ্র মানুষদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানো এবং খাদ্য সুরক্ষার জন্য ২৩০০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ভারতের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ১০ শতাংশ অর্থাৎ ২৭,১০০ কোটি মার্কিন ডলারের বিশেষ অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। ব্যবসা – বাণিজ্যে বিভিন্ন সহায়তামূলক উদ্যোগ, ৪৪টি কেন্দ্রীয় আইনকে সংশোধন করে শ্রম আইনের সরলীকরণ এবং বাস্তব সম্মত সংস্কার, রেশন কার্ডের জাতীয় স্তরে পোর্টাবিলিটির মাধ্যমে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নাবার্ড, গ্রামাঞ্চলে অর্থনৈতিক সহায়তার জন্য কৃষি ক্ষেত্রে ২৭১৩ কোটি মার্কিন ডলারের অতিরিক্ত মূলধনের ব্যবস্থা করেছে। এছাড়াও জাতীয় গ্রামাঞ্চল কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1665261 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

সমবায় সমিতিগুলির মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরিচর্যা পরিকাঠামো নির্মাণে এনসিডিসি-র ১০ হাজার কোটি টাকার আয়ুষ্মান সহকার তহবিলের সূচনা করেছেন কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর

কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর জাতীয় সমবায় উন্নয়ন নিগম (এনসিডিসি) – এর মাধ্যমে দেশে স্বাস্থ্য পরিচর্যা পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য একটি অভিনব আয়ুষ্মান সহকার কর্মসূচির আজ সূচনা করেছেন। এই উপলক্ষ্যে শ্রী তোমর জানান, এনসিডিসি আগামী বছরগুলিতে সম্ভাবনাময় সমবায় সমিতিগুলিকে ১০ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত মেয়াদী ঋণ সহায়তা যোগাবে। এনসিডিসি-র এই ঋণ সহায়তা কর্মসূচিটি কৃষক কল্যাণে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগগুলিকে আরও সুদৃঢ় করতে সহায়তা যোগাবে
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1665773 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

মুখতার আব্বাস নাকভি ২০২১ – এর হজ পর্যালোচনা বৈঠকে পৌরহিত্য করেছেন

কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী মুখতার আব্বাস নাকভি আজ বলেছেন, মহামারীজনিত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নীতি-নির্দেশিকাগুলির ওপর ২০২১ এর হজ যাত্রার বিষয়টি নির্ভর করবে। ২০২১ – এর হজ সম্পর্কিত এক পর্যালোচনা বৈঠকে পৌরহিত্য করে শ্রী নাকভি আরও বলেন, আগামী জুন-জুলাই মাসে হজ যাত্রার বিষয়টি পূর্ব নির্ধারিত রয়েছে। তবে, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সৌদি আরব সরকার কি ধরনের নীতি-নির্দেশিকা জারি করে তার ওপর নির্ভর করবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি, ভারতীয় হজ সংস্থাগুলিও মহামারী সংক্রান্ত নীতি-নির্দেশিকার বিষয়ে প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত করবে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার ও হজ কমিটি পুণ্যার্থীদের স্বাস্থ্য ও সার্বিক কল্যাণের বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করেছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1665797 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

আরও পড়ুন -  Lata Mangeshkar: ‘ভারতরত্ন’ লতা মঙ্গেশকরের চোখে জল জন্মদিনে, ভাইরাল গায়িকার ভিডিও

কৃষকদের স্বার্থে বিশেষ কিষাণ ক্রেডিট কার্ড স্যাচুরেশন অভিযানের আওতায় ১ কোটি ৫০- লক্ষ কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে ১.৩৫ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ সহায়তার মাইলফলক অর্জিত হয়েছে

আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজের অঙ্গ হিসাবে কেন্দ্রীয় সরকার এক বিশেষ স্যাচুরেশন অভিযানের মাধ্যমে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের আওতায় ২ কোটি ৫০ লক্ষ কৃষকের স্বার্থে ২ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণ সহায়তার লক্ষ্যে ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির লাগাতার প্রয়াসের ফলে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের আওতায় দেড় কোটিরও বেশি কৃষককে ১.৩৫ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ সহায়তা দেওয়ার এক উচ্চাকাঙ্খী উদ্দেশ্য পূরণ হয়েছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1665849 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

পিআইবি’র আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য

• মহারাষ্ট্র : প্রায় ৭ মাস বন্ধ থাকার পর মুম্বাই মেট্রো পরিষেবা পুনরায় শুরু হয়েছে। মনোরেল পরিষেবাও চালু হয়েছে। অবশ্য, ট্রেনগুলিতে সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখার লক্ষ্যে সীমিত সংখ্যক যাত্রীরা সফর করছেন। প্রতিটি মেট্রো ট্রেনে এখন কেবল ৩৬০ জন যাত্রীকে সফরের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি, সফরের সময় মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

• গুজরাট : রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী সোমবার জানিয়েছেন, বিদ্যালয়গুলি খোলার ব্যাপারে প্রত্যেকের মতামত জানার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কোভিড-১৯ মহামারীর দরুণ রাজ্যে স্কুল-কলেজগুলি দীর্ঘ সময় বন্ধ রয়েছে। তবে, শিক্ষাবর্ষ চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষা নিয়মিতভাবে গ্রহণ করা হচ্ছে।

• ছত্তিশগড় : রাজ্যে রবিবার আরও ১ হাজার ৮৯৪ জনের সংক্রমিত হওয়ার এবং ৩৯ জনের মৃত্যুর খবর মেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪৭৮ জনের।

• গোয়া : রাজ্যে রবিবার পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৫৪৪ জনের।

• অরুণাচল প্রদেশ : রাজ্যে রবিবার আরও ৫৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৮২৪।

• আসাম : রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের হার ২.৩৫ শতাংশ। এদিকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লক্ষ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৮৬৮ জনের।

• মেঘালয় : রাজ্যে আজ আরও ২৪৮ জন করোনা রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন। এর ফলে, সুস্থতার সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে।

• নাগাল্যান্ড : রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৮১৬। এর মধ্যে ৩ হাজার ৪৭৭ জন নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মী রয়েছেন।

• কেরল : রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যস্তরীয় উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি স্বাস্থ্য দপ্তরকে দৈনিক নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়ে ১ লক্ষ করার পরামর্শ দিয়েছে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৬১ জনের।

• তামিলনাডু : রাজ্যে ১১ই জুলাই থেকে এই প্রথমবার গতকাল করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজারের নীচে নেমেছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৮৭ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৬৪২ জনের।

• কর্ণাটক : রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের ৮ জন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পুত্রও রয়েছে। তাঁকে চিকিৎসার জন্য ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। এদিকে রাজ্যে ওষুধের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল দপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিকাল প্রাইসিং অথরিটি দাম বৃদ্ধির বিষয়টিতে নজর রাখছে।

• অন্ধ্রপ্রদেশ : রাজ্যে করোনা ভাইরাসের প্রভাব আরও কিছুটা কমেছে। সুস্থতার হার ক্রমশ বাড়ছে। এদিকে রাজ্যে রবিবার নতুন করে আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা হ্রাস পেয়েছে। এখনও পর্যন্ত করোনাজনিত কারণে রাজ্যে ৬ হাজার ৪২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

• তেলেঙ্গানা : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৯৪৮ জনের সংক্রমিত হওয়ার খবর মেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ২৩ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৭৫ জনের। এদিকে বন্যার ফলে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭০ হয়েছে। কেবল বৃহত্তর হায়দরাবাদ পুর এলাকায় ৩৩ জন মারা গেছেন। অন্যান্য জেলা থেকে ৩৭ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এখনও ৩ জনের কোনও হদিশ নেই। সূত্র – পিআইবি।