কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির মূলধন ব্যয় সংক্রান্ত চতুর্থ পর্যালোচনা বৈঠকে অর্থমন্ত্রী

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কেন্দ্রীয় অর্থ তথা কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক এবং কয়লা মন্ত্রক সহ এই দুই মন্ত্রকের অধীন ১৪টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডাইরেক্টরদের সঙ্গে মূলধন ব্যয় সংক্রান্ত পর্যালোচনা বৈঠক করেন। কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষিতে আর্থিক গতি ত্বরান্বিত করতে সংশ্লিষ্ট সবপক্ষের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর এটি চতুর্থ পর্যালোচনা বৈঠক। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ঐ ১৪টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার জন্য মূলধন ব্যয় পরিমাণ স্থির হয় ১ লক্ষ ১১ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে মূলধন ব্যয়ের পরিমাণ ধার্য লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়ে ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৩২৩ কোটি টাকা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের প্রথমার্ধে ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৪৩ হাজার ৯৭ কোটি টাকা এবং ২০২০-২১ অর্থবর্ষের প্রথমার্ধে ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে মূলধন ব্যয়ের পরিমাণ স্থির হয়েছে ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন -  Earbud: ৩ ঘণ্টা চলবে ইয়ারবাড, মাত্র ১৫ মিনিটের চার্জে!

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির কাজকর্মের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে শ্রীমতী সীতারমন বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির মূলধনী ব্যয় আর্থিক অগ্রগতির এক গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। তাই, ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ অর্থবর্ষে মূলধনী ব্যয় বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। অর্থমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির কাজকর্মে নজর রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সচিবদের নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে ২০২০-২১ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের শেষ নাগাদ মোট মূলধনী ব্যয়ের অন্তত ৭৫ শতাংশ খরচ করা সম্ভব হয় এবং ব্যয়ের ক্ষেত্রে আগাম পরিকল্পনা নেওয়া যায়। শ্রীমতী সীতারমন জোর দিয়ে বলেন, মূলধনী ব্যয়ের লক্ষ্য পূরণে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সচিবদের মধ্যে আরও বেশি সমন্বয় গড়ে তোলা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন -  প্রধানমন্ত্রী জেএনইউ ক্যাম্পাসে ১২ই নভেম্বর স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তির উন্মোচন করবেন

ভারতীয় অর্থনীতির বিকাশে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের কথা উল্লেখ করে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে তাদের মূলধনী ব্যয়ের ধার্য লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আরও ভালো কাজকর্ম করার জন্য উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই যাতে ধার্য মূলধনী ব্যয়ের উদ্দেশ্য পূরণ করা যায়, তার জন্য সংস্থাগুলিকে আগাম পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। পক্ষান্তরে, কোভিড-১৯ এর প্রভাব থেকে অর্থ ব্যবস্থার পুনরুদ্ধারে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

আরও পড়ুন -  ভর দুপুরে গাড়ির কাঁচ ভেঙে চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ! পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন

উল্লেখ করা যেতে পারে, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির মূলধনী ব্যয় পর্যালোচনা যৌথভাবে আর্থিক বিষয়ক দপ্তর এবং রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগ দপ্তর পরিচালনা করে থাকে। সূত্র – পিআইবি।