স্বচ্ছ কাঁচ রূপান্তরকরণ বিচ্যুতি তরল পারমাণবিক বর্জ্য নিরাপদে অপসারণ করতে সাহায্য করতে পারে

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কাঁচ একটি অস্বচ্ছ পদার্থ। প্রায়শই এটির গলিত রূপের শীতলীকরণের মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ, নিরাকার, শক্ত পদার্থ গঠিত হয়। তবে যাই হোক, নির্দিষ্ট অবস্থায় গলিত কাঁচ অনেক ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে এবং একটি স্বচ্ছ কাঁচে রূপান্তর হতে পারে। এই পদ্ধতিটিকে বলা হয় বিচ্যুতি প্রক্রিয়া।

তবে এই বিচ্যুতি প্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীরভাবে ঘটে বলে তা ভালোভাবে বোঝা যায়না এবং এটিকে অধ্যায়ন করতে অসুবিধাও হয়। বিজ্ঞানীরা এখন এই বিষয়টির ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন। এই প্রক্রিয়া কিভাবে হয় তা বোঝার জন্য কিছুটা অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে। ওষুধ প্রস্ততকারী শিল্পক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এই প্রক্রিয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।

আরও পড়ুন -  Jaya Ahsan: ‘পদ্মাসুন্দরী’ জয়া, দুধ সাদা পোশাকে আরও লাস্যময়ী

ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন স্বশাসিত সংস্থা জওহরলাল নেহরু সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড সায়েন্টিফিক রিসার্চ কেন্দ্র থেকে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে শান্তি স্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক রাজেশ গণপতি এই গবেষণা দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন আইআইএসসি-এর অধ্যাপক অজয় সুদ এবং তাঁর স্নাতক ছাত্রী শ্রীমতি দিব্যা গণপতি। কাঁচের মধ্যে লুকনো সূক্ষ্ম কাঠামোগত বৈশিষ্ট্যগুলি নির্ধারণ করতে তাঁরা একটি অপটিক্যাল মাইক্রোস্কোপ এবং মেশিন লার্নিংএর সাহায্যে প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ চালিয়েছেন। এই নিরীক্ষণ মাধ্যমে তাঁরা ‘সফ্টনেস’ নামে একটি মাপকাঠি শনাক্ত করতে পেরেছেন যা এই বিচ্যুতির মাত্রা নির্ধারণ করে। তাঁদের এই গবেষণা বিষয়টি নেচার ফিজিক্স জানার্লে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁরা দেখিয়েছেন তরল পারমাণবিক বর্জ্য কাঁচের আধারে ভূ গর্ভের গভীরে সরিয়ে ফেলতে পারলে তা পরিবেশের দূষণ ঘটাতে পারে না। সূত্র – পিআইবি।

আরও পড়ুন -  ভারতে করোনা পরীক্ষা তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে; সব মিলিয়ে পরীক্ষার সংখ্যা ১৫ কোটি ছাড়িয়েছে