খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে পিএমজেডিওয়াই-এর আওতায় ৪০ কোটি ৩৫ লক্ষের বেশি সুফলভোগীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, এই অ্যাকাউন্টগুলিতে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ১ লক্ষ ৩১ হাজার কোটি টাকা
গ্রামাঞ্চলে পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্ট ৬৩.৬ শতাংশ; পিএমজেডিওয়াই কর্মসূচিতে মহিলা অ্যাকাউন্টধারী ৫৫.২ শতাংশ
প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনার আওতায় পিএমজেডিওয়াই কর্মসূচির মহিলা অ্যাকাউন্টধারীদের অ্যাকাউন্টে এপ্রিল-জুন পর্যন্ত সময়ে ৩০,৭০৫ কোটি টাকা জমা করা হয়েছে
বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় প্রায় ৮ কোটি পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্টধারী সরকারের কাছ থেকে প্রত্যক্ষ নগদ হস্তান্তরের সুবিধা পেয়েছেন।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সার্বিক আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণে এবং প্রান্তিক মানুষের সহায়তায় অঙ্গীকারবদ্ধ। মন্ত্রক আর্থ-সামাজিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীকে অগ্রাধিকার দেয়। আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণের বিষয়টিকে সরকার জাতীয় স্তরে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে কারণ, এই উদ্যোগ সামগ্রিক বিকাশের এক অন্যতম চালিকাশক্তি। আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণের বিষয়টি দরিদ্র মানুষকে প্রচলিত অর্থ ব্যবস্থার মাধ্যমে তাঁদের সঞ্চয়ের সুযোগ করে দেয়। সেইসঙ্গে, গ্রামাঞ্চলে দরিদ্র পরিবারগুলির জন্য আর্থিক নিশ্চয়তার পথ দেখায়। এর ফলে, গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষ মহাজনদের আগ্রাসী মনোভাব থেকে রক্ষা পান। সরকারের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণের প্রতিশ্রুতি পূরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যোগ হল প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা (পিএমজেডিওয়াই)। এই কর্মসূচি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণের উদ্যোগ।
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৪-র ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে পিএমজেডিওয়াই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন। ঐ বছরেরই ২৮ আগস্ট কর্মসূচির সূচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দরিদ্র মানুষের দৈনন্দিন সমস্যার জীবনচক্র থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে সূচনার এই মুহূর্তটি উদযাপিত হতে পারে।
পিএমজেডিওয়াই-এর ষষ্ঠ বর্ষ পূর্তিতে কেন্দ্রীয় অর্থ তথা কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন পুনরায় এই কর্মসূচির গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা মোদী সরকারের নাগরিক-কেন্দ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূল ভিত্তি হয়ে উঠেছে। প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরই হোক বা কোভিড-১৯-এর সময় আর্থিক সহায়তা, পিএম-কিষাণ, এমজিএনআরইজিএ-এর আওতায় মজুরি হার বৃদ্ধি, জীবন ও স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা – প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই সরকারের উদ্দেশ্য হল প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য অন্ততপক্ষে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চালু করা। প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনার আওতায় এই উদ্দেশ্য প্রায় পূরণ হওয়ার পথে।”
কেন্দ্রীয় অর্থ তথা কর্পোরেট বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রী অনুরাগ ঠাকুর প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনার ষষ্ঠ বর্ষ পূর্তিতে তাঁর মতামত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সুদক্ষ নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টহীন ব্যক্তিদের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে এসেছে। এই কর্মসূচি ভারতের আর্থিক ভিত্তির কাঠামোর বিস্তার ঘটিয়েছে এবং ৪০ কোটির বেশি অ্যাকাউন্টধারীকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণের সুবিধা পৌঁছে দিয়েছে। কর্মসূচির সুফলভোগীদের অর্ধেকের বেশি মহিলা এবং অধিকাংশ অ্যাকাউন্টধারী গ্রামীণ ভারতের। বর্তমান কোভিড-১৯-এর সময় আমরা প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি লক্ষ্য করেছি। এই প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরের মাধ্যমে সমাজের সবথেকে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মানুষকে আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করে তাঁদের ক্ষমতায়ন সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জন ধন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিটি পয়সা বৈধ সুফলভোগীর কাছে সুষ্ঠুভাবে পৌঁছে গেছে এবং সমগ্র অর্থ হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় কোনরকম সমস্যা ছাড়াই প্রত্যেক সুফলভোগীর কাছে তাঁদের প্রাপ্য যথাসময়ে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এর ফলে অপচয় ঠেকানো গেছে।”
আমরা প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনার ছয় বছর পূর্ণ করেছি। এই উপলক্ষে এখনও পর্যন্ত এই কর্মসূচির আওতায় অর্জিত সাফল্য ও গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলি এক ঝলকে দেখে নেওয়া যেতে পারে।
প্রেক্ষাপট
আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণের লক্ষ্যে জাতীয় স্তরের কর্মসূচি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনার (পিএমজেডিওয়াই)-উদ্দেশ্য হল, ব্যাঙ্কিং / সেভিংস ও ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট, রেমিট্যান্স, ক্রেডিট, ইনস্যুরেন্স ও পেনশন সুবিধার মাধ্যমে সহজেই বিভিন্ন আর্থিক পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া।
1.উদ্দেশ্য :
➢ সুলভে আর্থিক পরিষেবা ও অন্যান্য সুবিধা পৌঁছে দেওয়া
➢ স্বল্প ব্যয়ে প্রযুক্তির প্রয়োগ ও প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিষেবার বিস্তার
2.কর্মসূচির মৌলিক উদ্দেশ্য :
➢ ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার বাইরে থাকা ব্যক্তিদের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসা – ন্যূনতম নথিপত্রের ব্যবহার ছাড়াই বেসিক সেভিংস ব্যাঙ্ক ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট চালু করা, কেওয়াইসি ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা, ই-কেওয়াইসি-র ব্যবস্থা সহ বিশেষ শিবির আয়োজন করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা, জিরো ব্যালেন্সের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও কোনরকম মাশুল ছাড়াই সেই অ্যাকাউন্টগুলি সক্রিয় করা।
➢ আর্থিক ব্যবস্থার বাইরে থাকা ব্যক্তিদের অর্থ ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসা – ব্যবসায়িক লেনদেনের ক্ষেত্রে টাকা তোলা ও মাশুল মেটানোর জন্য দেশীয় ডেবিট কার্ড ইস্যু করা। সেইসঙ্গে, ২ লক্ষ টাকার দুর্ঘটনা বিমার সুবিধা।
➢ তহবিল বহির্ভূত ক্ষেত্রকে তহবিল ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসা। মাইক্রো-ইনস্যুরেন্স ও ওভারড্রাফটের মতো মাইক্রো-পেনশন তথা মাইক্রো-ক্রেডিটের ক্ষেত্রে একাধিক আর্থিক সুবিধা প্রদান করা
3. প্রারম্ভিক বৈশিষ্ট্য
নিম্নলিখিত ছয়টি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে এই কর্মসূচির সূচনা হয়েছে :
➢ ব্যাঙ্ক শাখা থেকে বিজনেস করেসপনডেন্ট পর্যন্ত ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় সকলের সমান সুযোগ
➢ প্রত্যেক পরিবারের জন্য ১০ হাজার টাকার ওভারড্রাফট সুবিধা সহ সাধারণ সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট
➢ আর্থিক সচেতনতা কর্মসূচি – সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে উৎসাহদান, এটিএম-এর ব্যবহার, ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রস্তুত থাকা, বিমা ও পেনশনের সুবিধা গ্রহণ এবং ব্যাঙ্কিং-এর ক্ষেত্রে চালু থাকা মোবাইল ফোনের ব্যবহার
➢ ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কগুলিকে কিছুটা গ্যারান্টি দিতে ঋণ সহায়তা নিশ্চয়তা তহবিল গঠন
➢ বিমা – দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এবং জীবন বিমার ক্ষেত্রে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। অবশ্য, ২০১৪-র ১৫ আগস্ট থেকে ২০১৫-র ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত যাঁরা অ্যাকাউন্ট খুলেছেন তাঁরা এর সুবিধা পাচ্ছেন
➢ অসংগঠিত ক্ষেত্রের জন্য পেনশন কর্মসূচি
4.অতীত অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনার আওতায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
গ্রহণ :
➢ আগের অফলাইনে অ্যাকাউন্ট খোলার পরিবর্তে এখন কোর ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার আওতায় অনলাইনে অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে। এই অ্যাকাউন্টগুলিতে প্রযুক্তি-নির্ভর লক-ইন ব্যবস্থা সক্রিয় হয়েছে।
➢ রুপে ডেবিট কার্ড অথবা আধার উপযোগী মাশুল ব্যবস্থার মাধ্যমে পারস্পরিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি পরিচালনার সুবিধা।
➢ নির্দিষ্ট অঞ্চল বা স্থান-কেন্দ্রিক বিজনেস করেসপনডেন্ট।
➢ আগেকার কেওয়াইসি ব্যবস্থার পরিবর্তে এখন সরল পদ্ধতিতে কেওয়াইসি বা ই- কেওয়াইসি-র ব্যবস্থা।
5. নতুন বৈশিষ্ট্য সম্বলিত প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনার সম্প্রসারণ – সরকার সুসংবদ্ধ পিএমজেডিওয়াই কর্মসূচি ২০১৮-র ২৮ আগস্টের পরেও কয়েকটি সংশোধনী সহ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
➢ প্রতিটি পরিবারের পরিবর্তে এখন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার বাইরে থাকা প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের ব্যাঙ্কিং সুবিধার আওতায় নিয়ে আসার ওপর
➢ রুপে কার্ড ইনস্যুরেন্স – ২০১৮-র ২৮ আগস্টের পর চালু হওয়া পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্টগুলির ক্ষেত্রে রুপে কার্ডে নিখরচায় দুর্ঘটনা বিমার আর্থিক পরিমাণ ১ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লক্ষ টাকা করা হয়েছে
➢ ওভারড্রাফট সুবিধায় সম্প্রসারণ :
❖ ওভারড্রাফটের উচ্চসীমা দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৫,০০০ টাকা থেকে ১০,০০০ টাকা; ২,০০০ টাকা (শর্তাবলী ছাড়াই) পর্যন্ত ওভারড্রাফটের সুবিধা
❖ ওভারড্রাফটের ক্ষেত্রে সর্বাধিক বয়ঃসীমা ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ বছর করা হয়েছে
6.পিএমজেডিওয়াই-এর আওতায় সাফল্য – ২০২০-র ১৯ আগস্ট পর্যন্ত
a) পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্ট
➢ ২০২০-র ১৯ আগস্ট পর্যন্ত পিএমজেডিওয়াই-এর মোট অ্যাকাউন্ট সংখ্যা ৪০ কোটি ৩৫ লক্ষ; গ্রামাঞ্চলে অ্যাকাউন্ট ৬৩.৬%, মহিলা অ্যাকাউন্টধারী ৫৫.২%
➢ কর্মসূচির প্রথম বর্ষে ১৭ কোটি ৯০ লক্ষ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে
➢ কর্মসূচির আওতায় অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে
b) সক্রিয় পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্ট
➢ ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সংশোধিত নীতি-নির্দেশিকা অনুযায়ী, সেই সমস্ত পিএমজেডিওয়াই-এর অ্যাকাউন্টগুলিকে নিষ্ক্রিয় বলে গণ্য করা হবে যেগুলিতে দু’বছরের বেশি সময় ধরে গ্রাহকদের দ্বারা কোন লেনদেন হয়নি
➢ ২০২০-র আগস্ট পর্যন্ত মোট ৪০ কোটি ৩৫ লক্ষ পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্টের মধ্যে ৩৪ কোটি ৮১ লক্ষ (৮৬.৩%) অ্যাকাউন্ট সক্রিয় রয়েছে
➢ সক্রিয় অ্যাকাউন্টের সংখ্যা শতাংশের বিচারে ক্রমশ বাড়ছে যা থেকে প্রমাণিত হয় গ্রাহকরা নিয়মিত ভিত্তিতে অ্যাকাউন্টগুলিতে লেনদেন করছেন
c) পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্টগুলিতে আমানতের পরিমাণ –
➢ পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্টগুলিতে মোট আমানতের পরিমাণ ১ লক্ষ ৩১ হাজার কোটি টাকা
➢ অ্যাকাউন্টের সংখ্যায় ২.৩ গুণ বৃদ্ধি সহ আমানতের পরিমাণ প্রায় ৫.৭ গুণ বেড়েছে (আগস্ট ২০২০ / আগস্ট, ২০১৫)
d) প্রত্যেকটি পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্টে গড় আমানতের পরিমাণ –
➢ প্রতিটি অ্যাকাউন্টে গড় আমানতের পরিমাণ ৩,২৩৯ টাকা
➢ প্রতিটি অ্যাকাউন্টে গড় আমানতের পরিমাণ ২০১৫-র আগস্টের তুলনায় ২.৫ গুণ বেড়েছে
➢ গড় আমানতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্টগুলিতে ক্রমবর্ধমান লেনদেনের বিষয়টিকেই সূচিত করে এবং অ্যাকাউন্টধারীদের মধ্যে অর্থ সঞ্চয়ের প্রবণতার প্রতিফলন ঘটে
e) পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্টধারীদের রুপে কার্ড বন্টন
➢ পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্টধারীদের প্রদেয় মোট রুপে কার্ডের সংখ্যা : ২৯ কোটি ৭৫ লক্ষ
➢ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রুপে কার্ড ও কার্ডগুলির ব্যবহার ক্রমশ বেড়েছে
7. জন ধন দর্শক অ্যাপ
ব্যাঙ্কের শাখা, এটিএম, ব্যাঙ্ক মিত্র, ডাকঘর প্রভৃতির মতো ব্যাঙ্কিং পরিষেবা কেন্দ্রগুলির সঠিক অবস্থান নির্ধারণ করতে নাগরিক-কেন্দ্রিক একটি মঞ্চ হিসেবে এই অ্যাপের সূচনা হয়েছে। জিআইএস অ্যাপের মাধ্যমে সারা দেশে ৮ লক্ষের বেশি ব্যাঙ্কিং পরিষেবা কেন্দ্রের অবস্থান রয়েছে এই অ্যাপটিতে। জন ধন দর্শক অ্যাপের আওতায় সাধারণ মানুষ ব্যাঙ্কিং পরিষেবা কেন্দ্রগুলির সুযোগ-সুবিধা গ্রহণের পাশাপাশি, তাঁদের সুবিধামতো পরিষেবার সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন। জন ধন দর্শক অ্যাপটির ওয়েব সংস্করণ নিচের লিঙ্কে দেওয়া হয়েছে
http://findmybank.gov.in
এছাড়াও এই অ্যাপটিতে সেই সমস্ত গ্রামগুলিকে চিহ্নিতকরণের জন্য কাজে লাগানো হচ্ছে যে সমস্ত জনপদের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে কোন ধরনের ব্যাঙ্কিং পরিষেবা নেই। এমনকি, এই অ্যাপটি সেই সমস্ত গ্রামগুলিকেও চিহ্নিতকরণের কাজ করছে যেখানে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের ফলে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার বাইরে থাকা গ্রামের সংখ্যা ক্রমশ কমছে।
8. পিএমজেডিওয়াই মহিলা সুবিধাভোগীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ প্যাকেজ (পিএমজিকেপি)
প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনার আওতায় গত ২৬ মার্চ অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, পিএমজেডিওয়াই মহিলা অ্যাকাউন্টধারীদের অ্যাকাউন্টগুলিতে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসে মাসিক ৫০০ টাকা করে জমা করা হয়েছে। এর ফলে, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত পিএমজেডিওয়াই মহিলা অ্যাকাউন্টধারীদের অ্যাকাউন্টে মোট ৩০,৭০৫ কোটি টাকা জমা করা হয়েছে।
9. ডিবিটি লেনদেনের পদ্ধতিকে আরও মসৃণ করার লক্ষ্যে :
ব্যাঙ্কগুলি থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৮ কোটি পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্টধারী প্রত্যক্ষ নগদ হস্তান্তর বা ডিবিটি-র সুবিধা পেয়েছেন। বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় সরকারের পক্ষ থেকে এই নগদ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। বৈধ উপভোক্তারা যাতে সময়মতো নগদ হস্তান্তরের সুবিধা পেতে পারেন তার জন্য অর্থ দপ্তর ডিবিটি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে অনাবশ্যক বিলম্ব এড়াতে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেছে। এই লক্ষ্যে ব্যাঙ্ক সহ অন্যান্য মন্ত্রকগুলির সঙ্গে অর্থ মন্ত্রকের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিয়মিত ভিত্তিতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কড়া নজরদারি সহ উপযুক্ত কারণ ছাড়া ডেবিট হস্তান্তরে বিলম্ব এড়ানোর ক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় সাফল্য পাওয়া গেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯-এর এপ্রিলে এ ধরনের বিলম্ব ৫ লক্ষ ২৩ হাজার থেকে ২০২০-র জুনে কমে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ১০ হাজার।
10. ভবিষ্যতের পথে
i. পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্টধারীদের মাইক্রো-ইনস্যুরেন্স কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্টধারী প্রত্যেকেই পিএমজেজেডিওয়াই এবং পিএমএসবিওয়াই কর্মসূচির আওতায় আসার আবেদন করতে পারবেন। ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্কগুলিকে এ বিষয়ে অবগত করা হয়েছে।
ii. সারা ভারতে উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার মাধ্যমে পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্টধারীদের মধ্যে রুপে ডেবিট কার্ড ব্যবহার সহ ডিজিটাল লেনদেনে উৎসাহদান।
iii. ফ্লেক্সি-রেকারিং ডিপোজিটের মতো মাইক্রো-ক্রেডিট ও মাইক্রো-ইনভেস্টমেন্টের সুবিধা পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্টধারীদের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছে দেওয়া। সূত্র – পিআইবি।