খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ, মহাসড়ক ও অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রী শ্রী নীতিন গড়করি ভারতীয় মহাসড়ক এবং অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সংস্থার বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গাড়ি নির্মাণ শিল্প এবং অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ ভারতীয় অর্থনীতির প্রধান দুই চালিকা শক্তি।
ভারত-অস্ট্রেলিয়া বণিক সভা ও বাণিজ্য- বিনিয়োগে মহিলা উদ্যোগপতি এবং সড়ক পরিকাঠামো ও অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ ক্ষেত্রের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শ্রী গড়করি বলেন, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া পথ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করছে। তিনি বলেন, এই পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে জনসাধারণের জন্য আরও উন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা এবং সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। ভারতীয় পথ নিরাপত্তা মূল্যায়ন কর্মসূচীর আওতায় ইতিমধ্যেই ২১,০০০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রায় ৩,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কে প্রযুক্তিগত উন্নতিসাধন করা হয়েছে। তিনি বলেন, উন্নততর সড়ক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি থেকে এই উন্নতি এসেছে। এর ফলে, সড়ক দুর্ঘটনা প্রায় ৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। শ্রী গড়করি আরও বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার শূন্যে মানিয়ে নিয়ে আসার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে তাঁর মন্ত্রক বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। বিশ্বব্যাঙ্ক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্ক প্রত্যেকেই এই প্রচার অভিযানে ৭,০০০ কোটি টাকা করে দেবে বলে জানিয়েছে। তিনি বলেন, সামাজিক সচেতনতা এবং শিক্ষা প্রদান, জরুরি পরিষেবাগুলিতে উন্নতিসাধন, চিকিৎসা বীমাতে জোর দেওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে এনে পথ নিরাপত্তা ক্ষেত্রে লক্ষ্য অর্জনের কাছাকাছি পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। তিনি ২০১৯-র মোটরভেহিকেলস্ আইনের উল্লেখ করে জানান, দেশের পরিবহন ক্ষেত্রে বিভিন্ন দিকের উপর নজর রেখে এই আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে সরকার গ্রামীণ কৃষি ও আদিবাসী অঞ্চলগুলিতে বিশেষ নজর দিয়েছে। তিনি বলেন, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ এমন একটি ক্ষেত্র যা আগামী দিনে ভারতীয় অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি হয়ে উঠবে। তিনি পরিকাঠামো এবং বীমা ক্ষেত্রে বিনিয়োগের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার উপ প্রধানমন্ত্রী সেদেশের সড়ক ক্ষেত্রে বিশেষত পথ নিরাপত্তায় বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সুদৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। আগামী দিনে এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। উপ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্ক আগামী দিনে আরও বৃদ্ধি পাবে। তিনি পরাকাঠামো নির্মাণের উপর জোর দেন এবং বলেন যে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল দেশের পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। সূত্র – পিআইবি।