রাজ্যসভার কর্ম পদ্ধতিতে বেশকিছু পরিবর্তন এসেছে বলে চেয়ারম্যান মন্তব্য করেছেন

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ উপরাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান শ্রী এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু আজ বলেছেন, করোনার কারণে গত ৪ মাসের বেশি তিনি ঘরবন্দী। প্রথম প্রথম অসুবিধা হলেও পরে তিনি বুঝতে পেরেছেন আগের থেকেও বেশি ব্যস্ততায় তাঁর দিন কাটছে। তিনি পরিস্থিতি অনুযায়ী মানসিকতাকে পরিবর্তন করায় এটি সম্ভব হয়েছে। এরফলে জীবনে পরিবর্তনের নতুন দিক উঠে এসেছে।

উপরাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর কার্যকালের তৃতীয় বর্ষ পূর্তিতে শ্রী নাইডু বলেছেন, সভার কাজে বেশকিছু পরিবর্তন সবাই উপলব্ধি করতে পারছেন। উপরের মহলে কাজের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিষদীয় কাজের প্রসার ঘটেছে। প্রথমবারের মতো রাজ্যসভার কমিটিগুলির বৈঠকে উপস্থিতির হার ৫০ শতাংশের বেশি হচ্ছে।

আরও পড়ুন -  কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পিআইবি’র প্রাত্যহিক সংবাদ

উপরাষ্ট্রপতি ভবনে আজ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠানে ‘কানেক্টিং, কমিউনিকেটিং, চেঞ্জিং’ শীর্ষক একটি প্রকাশনার উদ্বোধন করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং। এই প্রকাশনাটির বৈদ্যুতিন সংস্করণটি উদ্বোধন করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী শ্রী প্রকাশ জাভড়েকর। বইটিতে গত এক বছরে শ্রী নাইডুর বিভিন্ন কাজের খতিয়ান দেওয়া আছে।

উপরাষ্ট্রপতি অনুষ্ঠানে বলেন, আর্থিক ক্ষমতাই জাতিকে শক্তিশালী করে তোলে। তিনি তাই অর্থনৈতিক কাজকর্ম দ্রুত শুরু করার আহ্বান জানান। উপরাষ্ট্রপতি ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছর বর্ষপূর্তিতে নতুন ভারত গঠনে মহাত্মা গান্ধী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ যে স্বপ্ন দেখতেন তা পূরণের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। দেশ গঠনের কাজে যুব সম্প্রদায়কে আরও সক্রিয় হওয়ার তিনি পরামর্শ দেন।

আরও পড়ুন -  Manosi Sengupta: স্পষ্ট সুগভীর বিভাজিকা ভিজে পোশাকে, এই সাহসী ছবিতে বোমা ফাটালেন মানসী

উপরাষ্ট্রপতি বলেছেন, গত ৩ বছর ধরে রাজ্যসভায় ৯৩টি বিল পাশ হয়েছে। এরমধ্যে শেষ ৩টি অধিবেশনে ৬০টি বিল অনুমোদন পেয়েছে। উচ্চকক্ষের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নিজস্ব বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিন তালাক বিল, নাগরিকত্ব (সংশোধন) বিল এবং জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল পাশ হয়েছে।

আরও পড়ুন -  Vijaya Dashami: মাকে বরণ, "আবার এসো মাগো"

শ্রী নাইডু স্বরাজকে সু-রাজ (সুপ্রশাসন)এ পরিণত করার পরামর্শ দেন। তিনি শহর ও গ্রামাঞ্চলের মধ্যে পার্থক্য দূর করার ওপর গুরুত্ব দেন যাতে উন্নয়নের সুফল সকলের কাছে পৌঁছাতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর দেশের সংস্কারের জন্য উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে উপরাষ্ট্রপতি বলেছেন, সমন্বিত উদ্যোগেই শ্রেষ্ঠ ভারত, সুস্থ ভারত এবং আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলা সম্ভব হবে। সূত্র – পিআইবি।