প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল রাষ্ট্রীয় স্বচ্ছতা কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগামীকাল স্বচ্ছ ভারত মিশনের অধীনে রাষ্ট্রীয় স্বচ্ছতা কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন। মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে গত ২০১৭ সালের ১০ই এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী প্রথম রাষ্ট্রীয় স্বচ্ছতা কেন্দ্রর(আর এস কে) কথা ঘোষণা করেন।গান্ধীজীর চম্পারন সত্যাগ্রহর শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এই ঘোষনা করা হয়।

রাষ্ট্রীয় স্বচ্ছতা কেন্দ্র গড়ে তোলার মধ্যে দিয়ে আগামী প্রজন্মের প্রতি,বিশ্বের সর্ববৃহৎ ব্যবহারিক পরিবর্তন প্রচার তথা স্বচ্ছ ভারত মিশনের সাফল্য বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে। স্বচ্ছতা এবং সেই সম্পর্কিত তথ্য যোগান দেওয়ার পাশাপাশি সচেতনতা এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে এই কেন্দ্র বিশেষ ভাবে সহায়ক হবে। কেন্দ্রের ডিজিটাল এবং বহির্বিভাগীয় সংস্থা স্থাপনে ভারসাম্য বজায় থাকবে।কমপ্লেক্সটিতে প্রক্রিয়া এবং সক্রিয়তার পারষ্পরিক মাধ্যমে শিখণ,অনুশীলন,আন্তর্জাতিক মাপকাঠি,সাফল্য ইত্যাদি তুলে ধরা হবে।

আরও পড়ুন -  অভিনয় করা অভিনেত্রীর কাজ, জিম প্রশিক্ষক নয়ঃ দীঘি

১ নম্বর কক্ষে,দর্শনার্থীরা ৩৬০⁰ অভূতপূর্ব অডিও ভিসুয়াল প্রদর্শনী উপভোগ করতে পারবেন। এই প্রদর্শনীতে, ” বিশ্ব ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ব্যবহারিক পরিবর্তনের প্রচার,একটি যাত্রা” শীর্ষক ভারতের স্বচ্ছতার গল্প তুলে ধরা হবে। ২ নম্বর কক্ষে,পারস্পরিক সম্বন্ধ যুক্ত এল ই ডি প্যানেল,হলোগ্রাম বক্স, খেলা সহ নানান পদ্ধতিতে,বাপুর স্বচ্ছ ভারতের স্বপ্ন,কতটা সার্থক হয়েছে তা তুলে ধরা হবে। কেন্দ্রের লাগোয়া উন্মুক্ত স্থানে প্রদর্শনীর মাধ্যমে ভারতের সত্যাগ্রহ থেকে স্বচ্ছগ্রহ পর্যন্ত যাত্রার বিবরণ তুলে ধরা হবে। কেন্দ্রের দেওয়াল গুলিতে শৈল্পিক মুরালের মাধ্যমে মিশনের সাফল্য তুলে ধরা হবে।

আরও পড়ুন -  মাটন মেট রেসিপি: ঐতিহ্যবাহী মাটন খাবারের একটি সুস্বাদু টুইস্ট

রাষ্ট্রীয় স্বচ্ছতা কেন্দ্র ঘুরে দেখার পর,প্রধানমন্ত্রী দিল্লী সহ অন্যান্য ৩৬ টি রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন। এম্পিথিয়েটারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরপর প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন।

আরও পড়ুন -  Tamarind: তেঁতুল দূর করে, ঘাড়ের কালো দাগ

স্বচ্ছ ভারত মিশন ভারতের গ্রামীন অঞ্চলের স্বাস্থ্যব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। ৫৫ কোটি মানুষ এখন প্রকাশ্যে শৌচকর্ম না করে শৌচাগার ব্যবহার করছেন। এই কারনে আন্তর্জাতিক মহল থেকে ভারতকে প্রশংসা করা হয়। ভারত পথ দেখিয়েছে,এখন বিশ্বের অন্যান্য দেশ তা অবলম্বন করছে। এই মিশন এখন দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে। এই পর্যায়ে, এই অবস্থা বজায় রাখার পাশাপাশি সকলের জন্য কঠিন এবং তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সূত্র – পিআইবি।