খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কোভিড মহামারী দেশে যখন প্রথম সংক্রমণের সৃষ্ট করছিল, সেই সময় স্বাস্থ্য পরিষেবায় যথেষ্ট সমস্যার সৃষ্টি হয়। যথাযথ পরীক্ষার মাধ্যমে সংক্রমিতদের শনাক্ত করে তাদের নিধৃতাবাসে পাঠানোর প্রক্রিয়ায় যে পরিকাঠামোর প্রয়োজন, সেই সময়ে তা ছিল না। ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবা যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হয়। চিকিৎসা করার উপাদানেও ঘাটতি দেখা দেয়।
কেন্দ্রের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থা জওহর লাল নেহেরু সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড সায়েন্টিফিক রিসার্চের একদল বিজ্ঞানী, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের গবেষকদের সঙ্গে যৌথভাবে একটি মডেল উদ্ভাবন করেছেন। গাণিতিক প্রক্রিয়ার সাহায্যে যে কোনো মহামারীর বিষয় সম্পর্কে একটি পূর্বাভাষ পাওয়া যেতে পারে। এর সাহায্যে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ও সম্পদের ব্যবস্থা করা যাবে। সে ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের মতো বিভিন্ন সামগ্রী আগে থেকেই সঞ্চয় করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির কাজ সেরে রাখা যাবে। যার ফলে স্বাস্থ্য সঙ্কটের সম্মুখীন হতে হবে না। এই মডেলটির মাধ্যমে ইতালী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ এবং সংক্রমণের কারণে মৃত্যুর সংখ্যার বিষয়ে যে পূর্বাভাষ দেওয়া হয়েছিল, তা মিলে গেছে। ফলে এটির কার্যকারিতা এখন প্রশ্নাতীত। সূত্র – পিআইবি।