করোনা মহামারী সত্বেও খরিফ শস্যের চাষ ও ফসল ঘরে তোলার ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত সাফল্য পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রগুলির পক্ষ থেকে ২৯-৩১শে জুলাই পর্যন্ত ৩ দিনের এক আঞ্চলিক কর্মশিবিরের আয়োজন করা হয়। কর্মশিবিরের পূর্ণাঙ্গ সভায় ভাষণে কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, দেশকে যে কোনও ধরনের সঙ্কট থেকে রেহাই দিতে কৃষি ও গ্রামীণ ক্ষেত্রের এক সহজাত ক্ষমতা রয়েছে। করোনা ভাইরাস মহামারী সত্ত্বেও খরিফ শস্যের চাষে অগ্রগতি ও ফসল ঘরে তোলার ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত সাফল্য অর্জিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে শ্রী তোমর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর আত্মনির্ভর ভারত গঠনের লক্ষ্য পূরণে ভবিষ্যতেও গ্রামীণ ভারত ও কৃষক সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। দেশের কৃষক ও গ্রামীণ অর্থনীতি এখনও পর্যন্ত কোনও রকম প্রতিকূলতার কাছে মাথা নত করেনি বলে ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ‘ভোকাল ফর লোকাল’ – এর জন্য যে আন্তরিক আহ্বান জানিয়েছেন, তার সঙ্গে গ্রামোন্নয়নের বিষয়টি নিবিড়ভাবে যুক্ত রয়েছে।

আরও পড়ুন -  ব্লগিং করে টাকা আয় করার কয়েটি পদ্ধতি

কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী আরও বলেন, দেশে কৃষি ক্ষেত্রে সামগ্রিক উন্নয়নে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র ও কৃষি বিজ্ঞানীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কৃষি উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর পাশাপাশি, জীবন-জীবিকার অন্যতম একটি মাধ্যম হিসাবে কৃষি কাজকে গ্রহণ করার জন্য যুবসম্প্রদায়কে উৎসাহিত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেও তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। তিনি ভারতীয় কৃষি গবেষণা পরিষদ এবং কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রগুলিকে এলাকা-ভিত্তিক উন্নয়ন মডেল উদ্ভাবন করার পরামর্শ দেন, যাতে এ ধরনের মডেলগুলি সহজেই কৃষকদের আকৃষ্ট করতে পারে।

আরও পড়ুন -  Trina Saha: লাস্যময়ী তৃণা, পিঠ খোলা নীল পোশাকে

জৈব ও প্রচলিত কৃষি কাজের ওপর গুরুত্ব দিয়ে শ্রী তোমর বলেন, এ ধরনের কৃষি কাজ কেবল মনুষ্য ও অন্যান্য প্রাণীকূলের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং মাটির উর্বরতা ও দূষণমুক্ত পরিবেশ বজায় রাখার দিক থেকেও সমান প্রয়োজনীয়।

আরও পড়ুন -  West Bengal: পশ্চিমবঙ্গে গুটখাসহ তামাকজাত দ্রব্য নিষিদ্ধ ঘোষণা

শ্রী তোমর এই শিবিরে আরও বলেন, সম্প্রতি যে সমস্ত অধ্যাদেশ জারি হয়েছে, তা ক্লাস্টার কৃষি কাজের প্রসারে এবং কৃষকদেরকে তাঁদের উৎপাদিত পণ্য ন্যায্য মূল্যে যে কোনও জায়গায় বিক্রির সুযোগ করে দেবে। এছাড়াও, ১ লক্ষ কোটি টাকার যে কৃষি পরিকাঠামো তহবিল গঠনের কথা ঘোষণা করা হয়েছে, তা আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার উদ্দেশ্যগুলি পূরণে সহায়ক হবে। সূত্র – পিআইবি।