সুমিত ঘোষ, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, মালদাঃ চারিদিকে করোনার আবহ চলছে। তার মধ্যে প্রতিনিয়ত বাড়ছে সংক্রমনের সংখ্যা। এরকম এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক পুনরায় চালু করার দাবিতে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সঙ্গে দেখা করল গ্রামবাসীরা। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক যদিও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। যার কারণে গ্রামবাসীরা কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। মালদা জেলার হবিবপুর ব্লকের বৈদ্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ।বাহাদুরপুর গ্রামের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র টি শুরু থেকেই প্রায় চার মাস হল বন্ধ হয়ে পড়েছে। জরুরী চিকিৎসাব্যবস্থা একদমই হচ্ছে না চিকিৎসকের অভাবে। চিকিৎসা ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে যার ফলে সমস্যায় পড়েছেন গ্রামবাসীরা। উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র পুনরায় চালু করার দাবি নিয়ে শুক্রবার দুপুরে গ্রামবাসীরা মালদা জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অফিসে এসে দেখা করে আবেদন জানান।
গ্রামবাসী বধু আধিকারিক জানান, প্রায় চার মাস থেকে বাহাদুরপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে্য জরুরী চিকিৎসা ব্যবস্থা একেবারেই বন্ধ হয়ে পড়েছে। এলাকার চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত মিলিয়ে প্রায় ১ লক্ষ মানুষের বসবাস। আজকে তাদের কোনো রকম অসুবিধা হলে কুড়ি কিলোমিটার দূরে বুলবুলচন্ডী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য আসতে হয়। এক সময় তাদের এই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাক্তার স্বাস্থ্যকর্মীরা থাকতেন। কিন্তু লকডাউন এর সময় থেকেই এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের সমস্ত ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কে বুলবুলচন্ডী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়।
তাই এলাকার গ্রামের মানুষরা একত্রিত হয়ে তারা লিখিত আকারে সই করে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পুনরায় উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের জরুরী পরিষেবা চালু করার বিষয়ে আজ আবেদন পত্র জানাই।
গ্রামবাসী সুভাষ দাম জানান বর্তমানে করোণার আবহ চলছে। ইতিমধ্যে তাদের গ্রামের পাশের একটি গ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন অনেকেই। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন থেকে সেই সমস্ত এলাকাকে রেড জোন বলে ঘোষণা করেছে। ফলে তারা গ্রামের মানুষরা আতঙ্কে আছেন তার মধ্যে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের জরুরী পরিষেবার চিকিৎসা ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। তাই সমস্ত গ্রামের মানুষদের একত্রিত করে আমরা আজ একটি আবেদনপত্র জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক আছে জানালাম যাতে আমাদের উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসা পরিষেবা খুব দ্রুততায় চালু হয়।
এই বিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী জানান বিষয়টি তিনি আজকে জানতে পেরেছেন সম্পূর্ণ বিষয় দেখে স্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু করার বিষয়ে দেখা হবে।