খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কেন্দ্রীয় সার ও রসায়ন মন্ত্রকের আওতাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা রাষ্ট্রীয় কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্টিলাইজারস লিমিটেড (আরসিএফ) কোভিড-১৯এর জেরে সংকটপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যেও সফলভাবে কাজ চালিয়ে গেছে। চলতি অর্থবর্ষে ২৭শে জুলাই পর্যন্ত এই সংস্থা ২০০ কোটি টাকার শিল্প পণ্য বিক্রি করেছে যা সংস্থার ইতিহাসে এক মাইল ফলক।
সংস্থার দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী মাত্র ৬৭ দিনেই তারা ১০০ কোটি টাকা আয় করেছে। পরের ১০০ কোটি টাকা আয় করতে মাত্র ৫১ দিন সময় লেগেছে। আরসিএফ’র শিল্পপণ্য বিভাগে মোট ২৩টি পণ্য রয়েছে যা অন্যান্য শিল্পে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যেমন ফার্মাসিউটিক্যাল্স, কীটনাশক, বেকারী পণ্য, ফাইবার, চামড়া ইত্যাদি। সংস্থা এই সংকটময় পরিস্থিতিতে দেশের কৃষি ও শিল্পের বিকাশে অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে উঠে এসেছে।
সংস্থাটি দেশের খাদ্য সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে যথেষ্টই অবদান রেখেছে এবং কৃষকদের নিরবচ্ছিন্নভাবে সার সরবরাহ সুনিশ্চিত করেছে। বিশেষ করে কোভিড মহামারীর কারণে সরবরাহ শৃঙ্খলায় বেশ কয়েকটি বাধা আসা সত্ত্বেও এই সংস্থা ২০২০-২১ অর্থবর্ষে প্রথম ত্রৈমাসিকে ৫.৯ লক্ষ মেট্রিক টনেরও বেশি সার উৎপাদন করেছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে তারা ২.৩ লক্ষ মেট্রিক টনেরও বেশি সার উৎপাদন করেছে। এমনকি সারা দেশে সারের ঘাটতি কাটাতে এই সংস্থাটি ২ লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি বিভিন্ন মাত্রার যৌগিক সার আমদানি করেছে।
সামাজিক দায়বদ্ধ বাণিজ্যিক সংস্থা হিসেবে আরসিএফ লিমিটেড কোভিড-১৯ মহামারী বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এই সংস্থার কর্মীর পিএম কেয়ার্স তহবিলে এবং মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন। এমনকি সংস্থার হোস্টেল প্রাঙ্গনটি কোভিড কেয়ার সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়াও আলিবাগের জেলা কালেক্টর অফিসে একটি অ্যাম্বুলেন্সও দান করেছে এই সংস্থাটি।
এই সময়ের মধ্যে সংস্থাটি সরকারের সমস্ত নির্দেশিকা অনুসরণ করে কর্মচারীদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করেছে। একইসঙ্গে সার ও শিল্পজাত পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন চালিয়ে গেছে। সূত্র – পিআইবি।