কোভিড-১৯-এ সংক্রমিতদের শনাক্তকরণ এবং ঝুঁকির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক স্টার্ট-আপ সংস্থার মোবাইল অ্যাপ

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দ্রুত শনাক্তকরণ এবং সংক্রমিত জনগোষ্ঠীর ঝুঁকির সম্ভাবনার মূল্যায়নের জন্য নতুন নতুন পন্থাপদ্ধতি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের ঝুঁকি কমাতে প্রযুক্তির ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের দ্য সেন্টার ফর অগমেন্টিং ওয়ার উইথ কোভিড নাইন্টিন হেলথ ক্রাইসিস (কবচ)-এর উদ্যোগে বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক একটি স্টার্ট-আপ সংস্থা অ্যাকুলি ল্যাবসকে কোভিডের ঝুঁকির মূল্যায়ন করার জন্য একটি ব্যবস্থার উদ্ভাবনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে – যেটি লাইফাস কোভিড স্কোর হিসেবে পরিচিত। ডিজিটাল পদ্ধতিতে দ্রুত শনাক্তকরণ, সংক্রমণের মূল কারণ, ঝুঁকির মূল্যায়ন এবং বাড়িতে সংক্রমিতের নজরদারির মতো বিষয়গুলি লাইফাস-এর মাধ্যমে করা হবে। যাঁরা উপসর্গহীন, অনেক সময় দেখা যায় তাঁদের নমুনা পরীক্ষা করার সময় অন্য কেউ আক্রান্ত হয়ে পড়েন। লাইফাস-এর মাধ্যমে এঁদের আগে থেকেই শনাক্ত করলে এই ঝুঁকির সম্ভাবনা হ্রাস পায়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর লাইফাসকে ব্যবহারযোগ্য করে তোলার জন্য অ্যাকুলি ল্যাবকে ৩০ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছে। আইআইটি ম্যাড্রাসের হেলথ কেয়ার টেকনলজি ইনোভেশন সেন্টার – মেডটেক ইনকিউবেটর এই প্রকল্পে সাহায্য করছে।

আরও পড়ুন -  Idol: প্রতিমা বিসর্জনে মানুষের ঢল, কক্সবাজার সৈকতে

লাইফাস হল অ্যান্ড্রয়েড ফোনের একটি অ্যাপ্লিকেশন। কোন ব্যক্তি ফোনের ক্যামেরায় ৫ মিনিটের জন্য তাঁর তর্জনীটি স্পর্শ করে রাখলে, ওই ব্যক্তির ক্যাপিলারি পালস সহ ৯৫ রকমের শারীরিক তথ্য পাওয়া যাবে। লাইফাস এরপর এই তথ্য ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কার্ডিও-রেসপিরেটরি, কার্ডিও-ভ্যাসক্যুলার, হেমাটোলজি, হেমোরলজি এবং নিউরলজি সংক্রান্ত তথ্য জানতে সাহায্য করবে। মেদান্তা মেডিসিটি হসপিটালে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেখা গেছে যে ৯২ শতাংশ উপসর্গহীন সংক্রমিত এর মাধ্যমে শনাক্ত হয়েছেন। আরোগ্য সেতুর মাধ্যমে যেখানে আমরা সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে কেউ এসেছেন কিনা সে বিষয়ে জানতে পারি, লাইফাস সেখানে যথাযথভাবে ওই ব্যক্তি সংক্রমিত হয়েছেন কিনা সে বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করে।

আরও পড়ুন -  ভারতীয় বিমানবাহিনীতে রাফায়েলের অন্তর্ভুক্তি

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের সচিব অধ্যাপক আশুতোষ শর্মা জানিয়েছেন, স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে সংক্রমিত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার এই অভিনব অ্যাপটি অত্যন্ত স্বল্প মূল্যের। এর মাধ্যমে দ্রুত সংক্রমণ চিহ্নিত করা যাবে। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই পদ্ধতির চিকিৎসা সংক্রান্ত পরীক্ষার কাজ শেষ হলে এটি বাজারে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হবে। সূত্র – পিআইবি।

আরও পড়ুন -  Smartphone: নতুন স্মার্টফোন নিয়ে আসছে ভিভো এক্স৭০প্রো