খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কার্গিল যুদ্ধে যেসমস্ত সৈন্যরা শৌর্যের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন, তাঁদের আত্মবলিদানকে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি শ্রী রামনাথ কোবিন্দ ২৬শে জুলাই দিল্লীর সেনা হাসপাতাল (রিসার্চ ও রেফারেল) কতৃপক্ষকে ২০ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিয়েছেন। কোভিড-১৯ মহামারীর মোকাবিলায় যেসব চিকিৎসক এবং প্যারামেডিক্যাল কর্মীরা কাজ করছেন তাঁদের জন্য এই অর্থ দিয়ে বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনা হবে।
আজ একবিংশতিতম কার্গিল যুদ্ধ জয়ের দিনটিকে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি ভবনে ব্যয় সংকোচনের ফলে যে আর্থিক সাশ্রয় হয়েছে সেই অর্থ সেনা হাসপাতালে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে কোভিড-১৯এর মোকাবিলায় আরও অর্থের সংস্থান হল। রাষ্ট্রপতি এর আগে রাষ্ট্রপতি ভবনে ব্যয় হ্রাসের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই উদ্যোগের অঙ্গ হিসেবে তিনি লিমোজিন গাড়ি কেনার প্রস্তাব পিছিয়ে দেন, এই গাড়ি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
রাষ্ট্রপতির থেকে এই অনুদান সেনা হাসপাতাল পাওয়ার পর চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য পিএপিআর কেনা হবে। পাওয়ার্ড এয়ার পিউরিফাইং রেসপিরেটর বা পিএপিআর একটি অত্যাধুনিক যন্ত্র, যার সাহায্যে শল্য চিকিৎসার সময় চিকিৎসকরা সংক্রমণ মুক্ত বিশুদ্ধ বাতাস নিতে পারবেন। অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে যেসমস্ত যোদ্ধারা লড়াই করছেন তাঁরা নিজেদের রক্ষা করে রোগীদের আরও ভাল সেবা করতে পারবেন।
স্বশস্ত্র বাহিনীর প্রধান হিসেবে রাষ্ট্রপতির এই ভূমিকায় সেনা হাসপাতালে সামনের সারির কোভিড যোদ্ধাদের মনোবল বাড়বে। এরফলে কোভিড যোদ্ধারা নিরাপদ এবং চিকিৎসা সহায়ক পরিবেশে তাঁদের সর্বোচ্চ ক্ষমতা অনুসারে কাজ করতে পারবেন। এই উদ্যোগে অন্যেরা অনুপ্রাণিত হবেন এবং বিভিন্ন সংস্থা তাদের আর্থিক ব্যয় হ্রাস করে আমাদের কোভিড যোদ্ধাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন বলে আশা করা যায়।
দেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র এই সেনা হাসপাতাল (রিসার্চ ও রেফারেল)। এখানকার প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন মেজর জেনারেল শরৎ চন্দ্র দাশ। মেজর জেনারেল দাশ অপারেশন বিজয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন, এরজন্য তাঁকে যুদ্ধ সেবা পদক দেওয়া হয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স এবং প্যারামেডিক্যাল কর্মীরা নিরলসভাবে দিনরাত কাজ করে চলেছেন এবং তাঁরা তাঁদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শ্রেষ্ঠ চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে চলেছেন। সূত্র – পিআইবি / ছবি – ফাইল।