নয়টি রাজ্যে কোভিড-১৯-এ সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতির পর্যালোচনা করলেন ক্যাবিনেট সচিব

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমকে নমুনা পরীক্ষার হার বৃদ্ধি, কনটেনমেন্ট এলাকার নিয়মকানুন কঠোর করা, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর বৃদ্ধি এবং উপযুক্ত চিকিৎসা পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করতে কেন্দ্রের পরামর্শ।
কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির মধ্যে নিয়ন্ত্রিত, সক্রিয় এবং সমন্বিত কৌশল গ্রহণের ফলে দেশ জুড়ে কোভিড-১৯-এ সংক্রমিতদের সুস্থ হয়ে ওঠার পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। একইসঙ্গে, কোভিড সংক্রমণে মৃত্যুর হারও কমছে। তবে, সম্প্রতি কয়েকটি রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার বৃদ্ধির খবর পাওয়া গেছে যা কোভিড সংক্রমণের প্রতিরোধের ক্ষেত্রে যথেষ্ট উদ্বেগজনক।

কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে সমন্বিত উদ্যোগের অংশ হিসেবে কোভিড-১৯ মহামারীর মোকাবিলায় একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। নয়টি রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্য সচিবদের সঙ্গে এই বৈঠকে পৌরোহিত্য করেন কেন্দ্রের ক্যাবিনেট সচিব। এই নয়টি রাজ্য হল – অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, তেলেঙ্গানা, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, অসম, কর্ণাটক, ঝাড়খণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশ। দেশে বর্তমানে এই রাজ্যগুলিতে কোভিড সংক্রমণের খবর বেশি আসছে।

আরও পড়ুন -  Ranbir- Aishwarya: রণবীর কাপুরকেই নিজের বাবা মনে করেছিল, ঐশ্বর্যের মেয়ে আরাধ্যা !

ক্যাবিনেট সচিব কোভিড মহামারীর মোকাবিলায় স্বাস্থ্য সচিব ও রাজ্যের অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে বিস্তারিত পর্যালোচনা করেছেন। বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোচনা হয়েছে। ‘টেস্ট, ট্র্যাক, ট্রিট’ কৌশল বজায় রেখে রাজ্যগুলিকে কনটেনমেন্ট এলাকায় নমুনা পরীক্ষার ওপর গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। কয়েকটি রাজ্যে নমুনা পরীক্ষার হার কম হওয়ায় তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর মধ্য দিয়ে সংক্রমিতদের দ্রুত শনাক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর মাধ্যমে সংক্রমণ আটকানো সম্ভব।

ক্যাবিনেট সচিব কনটেনমেন্ট এলাকাগুলিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী যথাযথভাবে শনাক্ত করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এর সঙ্গে সংক্রমণের চক্রকে ভাঙতে কনটেনমেন্ট এলাকায় বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা চালিয়ে সংক্রমিতদের বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কনটেনমেন্ট এলাকার বাইরে বাফার অঞ্চলকে চিহ্নিত করে এবং সারি ও আইএলআই সংক্রমিতদের বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন -  বাংলাদেশের জামালপুর শহরের দয়াময়ী মন্দির

স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিশ্চিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার জন্য রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের বেড, অক্সিজেনের ব্যবস্থা এবং ভেন্টিলেটরের সংখ্যার বিষয়টি বিবেচনার মধ্যে রাখতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কারণ, যথাযথ চিকিৎসার জন্য এগুলির প্রয়োজন। পর্যালোচনা বৈঠকে অ্যাম্বুলেন্সগুলি যেন রোগীদের প্রত্যাখ্যান না করে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ক্যাবিনেট সচিব সংক্রমিতদের মৃত্যুর হার কম রাখার ওপর বিশেষ জোর দিয়েছেন। এর জন্য বয়স্ক নাগরিক এবং যাঁরা বিভিন্ন জটিল অসুখে ভুগছেন তাঁদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

আরও পড়ুন -  Blanket Distribution Camp: দুঃস্থ মানুষজনের মধ্যে কম্বল বিতরণ শিবির

কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ আটকাতে দ্রুত শনাক্তকরণ এবং যথোচিত চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে রাজ্যগুলিকে বৈঠকে আরও একবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কোভিড-১৯ এর বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের জন্য এবং এই মহামারী প্রতিরোধের বিষয়ে যে সব নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তা জানতে https://www.mohfw.gov.in/ লিঙ্কটি ক্লিক করুন। অথবা ট্যুইটার হ্যান্ডেল @MoHFW_INDIA.-এর সাহায্য নিতে পারেন।

কোভিড-১৯ এর বিষয়ে কোন জিজ্ঞাস্য থাকলে technicalquery.covid19@gov.in অথবা ncov2019@gov.in – এই দুটি ই-মেলে যোগাযোগ করা যাবে। ট্যুইটার হ্যান্ডেল @CovidIndiaSeva-এ ও প্রশ্ন করা যাবে।

এছাড়াও +৯১-১১-২৩৯৭ -৮০৪৬ অথবা নিঃশুল্ক নম্বর ১০৭৫ এ ফোন করা যাবে। বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোভিড–১৯ সংক্রান্ত হেল্প লাইন নম্বরগুলির তালিকা পেতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন –
https://www.mohfw.gov.in/pdf/coronvavirushelplinenumber.pdf

সূত্র – পিআইবি।