খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ শিলং-এর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম)-এর ডঃ এ পি জে আব্দুল কালাম সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিসের পক্ষ থেকে আজ হস্তশিল্পের ওপর একটি বৈদ্যুতিন সিম্পোসিয়ামের আয়োজন করা হয় । ‘উত্তর-পূর্ব ভারতের উত্থান : হস্তশিল্পে কৌশলগত এবং উন্নয়নমূলক বধ্যবাধকতা” – শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী অর্জুন মুন্ডা।
উদ্বোধনী ভাষণে শ্রী মুন্ডা বলেন, ভারতের চিরায়ত জীবনশৈলী অত্যন্ত শৈল্পিক এবং সৃজনশীল। কিন্তু আমরা যথাযথ বিপণণের ব্যবস্থাপনা করতে না পারায় আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের দেশজ উৎপাদিত সামগ্রী সঠিক জায়গা পায়নি। তিনি এই প্রসঙ্গে ধূপকাঠির উদাহরণ দেন – যার বেশিরভাগই ভারতে আমদানি করা হয়। তিনি মনে করেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাঁশকে কাজে লাগিয়ে উন্নতমানের ধূপকাঠি তৈরি করা সম্ভব। এর ফলে, আমদানির বোঝা কমবে। মন্ত্রী ভগবান গণেশের মূর্তির কথাও তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেছেন। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের মূর্তি আমদানি করা হয় অথচ আমরা নিজেরাই সেগুলিকে উন্নত শিল্পের ছোঁয়ায় তৈরি করতে পারি। এমনকি, অত্যন্ত ছোট্ট সামগ্রী ౼ নেইলকাটারও ভারতে তৈরি হয় না কারণ, আমাদের দেশে উন্নতমানের ইস্পাত পাওয়া যায় না। অথচ, ভারত আকরিক লৌহ রপ্তানি করে। শ্রী মুন্ডা আরও বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিকে খুব সহজেই জৈব ফসলের রাজ্যে পরিণত করা যায় কারণ, এইসব রাজ্যগুলি থেকে উন্নতমানের জৈব কৃষিপণ্য উৎপাদন সম্ভব। আমাদের কারুশিল্পীদের চিরাচরিত মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে বলে মন্ত্রী মন্তব্য করেছেন। তাঁদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য শিল্পোদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে তাঁদের দক্ষতা বৃদ্ধির আবশ্যকতার কথা মন্ত্রী উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, যথাযথ পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে আমরা বাজারের চাহিদা মেটাতে পারি। সঠিক পরিকল্পনার অভাবে আজ নিম্নমানের জিনিসের দাম অত্যন্ত বেশি। আমাদের হস্তশিল্পীদের দক্ষতা বাড়ানোর ওপর তাই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন যাতে তাঁদের উৎপাদিত সামগ্রী আন্তর্জাতিক বাজারে সমাদৃত হয়। শ্রী মুন্ডা এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, আমাদের শিল্পীদের খেয়াল রাখতে হবে, তাঁদের উৎপাদিত সামগ্রী যেন আকর্ষণীয় এবং দৃষ্টিনন্দন হয়, একইসঙ্গে সেগুলির দামও যাতে কম হয় এবং গুণমান বজায় থাকে।
মন্ত্রী বিদেশি পণ্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর ওপর গুরুত্ব দেন। আমাদের শিল্পীদের আন্তর্জাতিক বাজার খুঁজে দেওয়ার ক্ষেত্রে আইআইএম-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। ছোট ছোট কারিগরদের বৃহৎ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত করার উদ্যোগ নিতে হবে।
আইআইএম শিলং-এর ডঃ এ পি জে আব্দুল কালাম সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই বৈদ্যুতিন সিম্পোসিয়াম নীতি-নির্ধারক, বিশেষজ্ঞ, কর্পোরেট সংস্থা ও সুশীল সমাজকে একজোট হওয়ার একটি প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে যেখানে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করা যায়। সূত্র – পিআইবি।