ধস প্রবাহিত লোকেদের পুনর্বাসনের দাবিতে বুধবার থেকে কাজোড়া জিএম অফিসের কার্যালয়ের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্ণায়

Published By: Khabar India Online | Published On:

টুঙ্কা সাহা, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, আসানসোলঃ অন্ডালের হরিশপুরে ধস প্রবাহিত লোকেদের পুনর্বাসনের দাবিতে বুধবার থেকে কাজোড়া জিএম অফিসের কার্যালয়ের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্ণায় বসলো কয়লা খাদান শ্রমিক কংগ্রেস। সেই ধর্ণায় উপস্থিত থেকে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি তথা পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, বেশ কিছু বছর আগে প্রাক্তন সাংসদ প্রয়াত হারাধন রায় বুঝেছিলেন যে, সঠিক ভাবে কয়লা তোলা না হলে এমন পরিস্থিতি হবে। যখন হারাধন রায়ের নেতৃত্বে সিটু আন্দোলন শুরু করেছিলেন তখন সিপিএমের নেতা বংশগোপাল চৌধুরী ও বর্তমান বিধায়ক রুনু দত্ত তাকে দল থেকে বার করে দিয়েছিলেন। সেই সময় হারাধন রায়কে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সম্মান দিয়েছিলেন। আজ এখানে এসে বড় বড় কথা না বলে সিপিএমের নেতা দের উচিত হারাধন রায়ের আত্মার কাছে ক্ষমা চাওয়া। তিনি আরো বলেন, ইসিএলের গাফিলতির বিরুদ্ধে কেকেএসসির ব্যানারে লাগাতার আন্দোলন করা হবে। ইসিএলের আধিকারিকরা যদি ভাবেন যে, এই মামলা দু/চারদিনে ঠান্ডা হয়ে যাবে। তাহলে তারা স্পষ্ট ভাবে শুনে নিন, আমাদের সামনে একদিকে ইসিএল ও অন্যদিকে সাধারণ মানুষেরা আছেন৷ আমরা অবশ্যই সাধারণ মানুষের সঙ্গে থাকবো। ইসিএল এখান থেকে কোটি কোটি টাকা মুনাফা করে, ঝাড়খণ্ড ও অন্য রাজ্যে সিএসআরের কাজ করবে। এখানে ধস কবলিত মানুষ দের পুনর্বাসন করবে না। রাজ্যের মুখ্য সচিব ২০ বার ইসিএলকে চিঠি দিয়ে বলেছেন, পুনর্বাসনের জন্য জমি দেওয়া হোক৷ কিন্তু ইসিএল মাটির নিচে কয়লা আছে বলে, আপত্তি করে যাচ্ছে। ইসিএলের সিএমডির বাংলো ও কার্যালয়ের নিচে কি কয়লা নেই? যতক্ষণ পর্যন্ত না পুনর্বাসন পাওয়া যাবে, ততক্ষন আন্দোলন চলবে৷ এখানে তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা চেয়ারম্যান ভি শিবদাসন ওরফে দাসু, কেকেএসসির সাধারণ সম্পাদক হরেরাম সিং, ব্লকের কার্যকরী সভাপতি শশী চৌবে, মিনতি হাজরা, বিষুণদেব নুনিয়া, রুপেষ যাদব সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -  Government At The Door: ১৬ নভেম্বর থেকে ফের শুরু হবে দুয়ারে সরকার প্রকল্প