সত্যেন্দ্রনাথ বসু জাতীয় মৌলিক বিজ্ঞান কেন্দ্রের তৈরি করা দুটি কোভিড-১৯ প্রযুক্তি জাতীয় গবেষণা উন্নয়ন সংস্থাকে হস্তান্তর

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ ভারত সরকারের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রকের আওতাধীন বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা দপ্তরের একটি অন্যতম সংস্থা হল জাতীয় গবেষণা উন্নয়ন সংস্থা। এই সংস্থাটি ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের আওতাধীন স্বশাসিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান সত্যেন্দ্রনাথ বসু জাতীয় মৌলিক বিজ্ঞান কেন্দ্রের তৈরি করা দুটি কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণকারী প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য কলকাতার পলিম্যাট ইনফ্রাসট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে।

সত্যেন্দ্রনাথ বসু জাতীয় মৌলিক বিজ্ঞান কেন্দ্রের তৈরি করা প্রযুক্তি দুটি হল-
১) আরামদায়ক এবং স্বাস্থ্যকর শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য কার্যকরীভাবে শ্বাস চালু রাখার যন্ত্রের সঙ্গে সংযুক্ত নিঃসরণ ভাল্ভ ও পার্টিকুলেট ম্যাটার ফিল্টার
এবং
২) ডিসপেন্সিং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল লেয়ারে দীর্ঘস্থায়ী ন্যানো স্যানিটাইজার।

আরও পড়ুন -  করোনায় আক্রান্ত ঋতুপর্ণা

সাধারণত মাস্ক পরে থাকলে কার্বন ডাই অক্সাইড, শ্বাস-প্রশ্বাসের আদ্রতা এবং মাস্কের ভিতর ঘামযুক্ত বাতাস সহজে মাস্কের বাইরে বেড় হতে পারে না। কিন্তু অ্যাক্টিভ মাস্ক পরে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারা যাবে এবং স্পষ্টভাবে কথাও সম্ভব ౼ সেই সঙ্গে মাস্ক আর নাকের মধ্যে আটকে থাকা কার্বন ডাই অক্সাইড বা জলীয় বাষ্পও বেড়িয়ে যাবার ব্যবস্থা থাকছে। বায়ু বাহিত দূষণ রোধে এই মাস্ক যথেষ্টই কার্যকর।

আরও পড়ুন -  Golden Ball: মেসি গোল্ডেন বল জিতলেন, কাতার বিশ্বকাপে

ঘন ঘন সাধারণ স্যানিটাইজার ব্যবহারের ফলে ত্বকের শুষ্কতা এবং সাধারণ রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে যায়। দীর্ঘস্থায়ী ন্যানো স্যানিটাইজার উদ্ভাবনের ফলে সৃষ্ট এই সমস্যাগুলির সমাধান হবে। এই উদ্ভাবনী স্যানিটাইজার দীর্ঘ সময়ের জন্য কার্যকরও থাকবে।

এদিন এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন জাতীয় গবেষণা উন্নয়ন সংস্থার কার্যকরী অধিকর্তা ডঃ এইচ পুরুষোত্তম এবং পলিম্যাট ইনফ্রাসট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের অধিকর্তা শ্রী শান্তি রঞ্জন পাল। এই স্বাক্ষরগ্রহণ অনলাইনের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের সচিব অধ্যাপক আশুতোষ শর্মা, সত্যেন্দ্রনাথ বসু জাতীয় মৌলিক বিজ্ঞান কেন্দ্রের অধিকর্তা ডঃ সমিত কুমার রায়, বিশিষ্ট বিজ্ঞানী অধ্যাপক সমীর কুমার পাল সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

আরও পড়ুন -  Bharti Singh: ভারতী সিং শেয়ার করলেন অন্তসত্তা'র ছবি, প্রশংসা করলেন ভক্তরা

বর্তমানে বাজারে উপলব্ধ মাস্ক এবং স্যানিটাইজারগুলি ব্যবহারের ফলে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে, এই উদ্ভাবনী পণ্যগুলির ব্যবহারের ফলে, তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। অধ্যাপক আশুতোষ শর্মা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমাজের কল্যাণে এই উদ্ভাবনী পণ্যগুলি বাজারে নিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকেই অভিনন্দন জানিয়েছেন। সূত্র – পিআইবি।