খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বারাণসীর বিভিন্ন অসরকারী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এইসব সংগঠনগুলি কোভিড-১৯ মহামারীর সময় ত্রাণের কাজে যুক্ত রয়েছে।
পবিত্র বারাণসী শহরের জনসাধারণের আশা ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে করোনা ভাইরাস মোকাবিলার উদ্যোগের প্রধানমন্ত্রী প্রশংসা করেন।
শ্রী মোদী বলেন, কিভাবে দরিদ্র মানুষদের সেবার মানসিকতা নিয়ে সাহসের সঙ্গে নিরন্তরভাবে বারাণসীর জনসাধারণ সাহায্য করছেন, সেই তথ্য সবসময়ই তাঁর কাছে পৌঁছচ্ছে। সংক্রমণ প্রতিরোধ, বিভিন্ন হাসপাতালের অবস্থা, কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থাপনা এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের কল্যাণে নানা পদক্ষেপের বিষয়ে তাঁকে সবসময়ই অবহিত করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাশীতে কেউই খালিপেটে ঘুমোয় না এই সংস্কারটি রয়েছে। কারণ মা অন্নপূর্ণা এবং বাবা বিশ্বনাথের এই শহরের উপর আশীর্বাদ রয়েছে। তিনি বলেন, দরিদ্রদের জন্য সেবা করার একটি দারুণ সুযোগ ঈশ্বর আমাদেরকে দিয়েছেন।
এই পবিত্র শহরে বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ হলেও শহরের জনসাধারণ প্রমাণ করেছেন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এবং দরিদ্র মানুষদের খাদ্য ও পথ্য সরবরাহ যোগান দিয়ে তাঁরা অদ্বিতীয়। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে অসরকারি সংগঠনগুলি একযোগে কাজ করার বিষয়টির ভুয়োসী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, খাদ্যের জন্য হেল্পলাইন চালু করা এবং খুব কম সময়ে কমিউনিটি কিচেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তথ্য সংগ্রহ করে বারাণসী স্মার্ট সিটি-র কম্যান্ড সেন্টারের সাহায্যে প্রতিটি স্তরে যে কেউ দরিদ্র মানিষদের সাহায্য করতে পারেন। এই প্রসঙ্গে তিনি ডাক বিভাগের একটি ঘটনা উল্লেখ করেন। জেলা প্রশাসনের খাদ্যবন্টন করার সময় ঠেলা গাড়ির সঙ্কট দেখা দিলে ডাক বিভাগ সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিল। শ্রী মোদী সন্ত কবিরের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, যাঁরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাঁরা তাঁদের এই পরিষেবার কোন ফল প্রত্যাশা করেন না, নিঃস্বার্থভাবে তাঁরা দিনরাত কাজ করে যান!
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক বিশেষজ্ঞই এই মহামারীর মোকাবিলায় ভারতের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ছিলেন। মূলত বিপুল জনসংখ্যার এই দেশে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের বিষয়টি তাঁরা ভেবেছিলেন। উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্য౼ যার জনসংখ্যা ২৩-২৪ কোটি সেখানে কিভাবে এই সংক্রমণকে দূরে রাখা যায়, সেই আশংকা ছিল । রাজ্যের মানুষের কঠোর পরিশ্রম এবং সহযোগিতার ফলেই আজ সংক্রমণকে দূরে রাখা সম্ভব হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে যেভাবে সংক্রমণকে আটকানো এবং তা নিয়ন্ত্রণ করা গেছে তাতে তিনি সন্তোষ ব্যক্ত করে বলেন, রাজ্যে করোনায় সংক্রমিতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন।
প্রধানমন্ত্রী জানান, কেন্দ্র দরিদ্র মানুষদের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ৮০ কোটি জনসাধারণ বিনামূল্যে রেশন এবং রান্নার গ্যাস পাচ্ছেন।
শ্রী মোদী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকেও দ্বিগুণ জনসংখ্যার দেশ এই ভারতবর্ষ। এদেশের মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য একটি পয়সাও নেওয়া হয়নি। এখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দীপাবলি এবং ছট্ পুজো পর্যন্ত অর্থাৎ নভেম্বরের শেষ অবদি এই পরিষেবা চালু থাকবে।
তন্তুবায় সহ হস্তশিল্পীরা এবং ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সংকটের সম্মুখীন হওয়ায় তাঁদের সাহায্যের জন্য সরকারী স্তরে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । বারাণসী শহরে ৮ হাজার কোটি টাকার পরিকাঠামো সহ অন্যান্য প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়িত হচ্ছে বলেও প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন। সূত্র – পিআইবি।