নদী গর্ভে তলিয়ে গেল বাঁধ

Published By: Khabar India Online | Published On:

সুমিত ঘোষ, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, মালদাঃ     ফুলাহারের জলের তোড়ে নব নির্মিত অস্থায়ী বাঁধের ফাটল দিয়ে সংরক্ষিত এলাকায় ঢুকছে জল। নদী গর্ভে তলিয়ে গেল বাঁধ।ক্রমশঃ ফুলহর নদীর জল বাড়তে থাকায় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা মালদা জেলার রতুয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। নদী বাঁধ মেরামতিতে দুর্নীতি আত্মসাধের কারণে এই বিপত্তি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ইতিমধ্যে রতুয়ার কালিন্দ্রী নদীতে জল ঢুকতে শুরু করেছে।সোমবার সকাল থেকে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে রতুয়া জুড়ে। চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে দেবীপুর,কাহালা, রতুয়া ও বাহারাল অঞ্চলে মানুষ। এমন অবস্থায় উদ্বেগ বাড়িয়েছে প্রশাসনের। আধিকারিকরা দফায় দফায় এলাকায় ছুটছেন।
গত বছরে কাহালা অঞ্চলের সূর্যাপুর এলাকায় ফুলহারের দাপটে ভেঙে যায় প্রায় ৫০০ মিটার নদী বাঁধ। প্লাবিত হয় রতুয়া-১ ব্লকের দেবীপুর,কাহালা,বাহারাল অঞ্চল সহ বিস্তীর্ণ এলাকা।তবে সম্প্রতি মাসখানেক আগে থেকে মালদা জেলা প্রশাসনের তরফে এই এলাকার বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করা হয়। সেচ দপ্তরের তরফে বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ মেরামতির সাথে ও তৈরি করা হচ্ছিল একটি রিং বাঁধ। জোরকদমে চলা কাজ দিন কয়েক আগেই এই কাজ পরিদর্শন করেছেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র সহ প্রশাসনের কর্তারা। তবে ফুলহারের জল ফুলে-ফেঁপে ওঠে তছনছ করে দিয়েছে বাঁধ মেরামতির কাজ। বর্তমানে সেই কাজ এখন তলিয়েছে নদীর গর্ভে। ক্ষতিগ্রস্ত রিংবাঁধও।জল সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করতে শুরু করে দিয়েছে। আর এমন অবস্থায় আতঙ্কিত রতুয়ার মানুষ। বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় চাঞ্চল্য এলাকাজুড়ে। যদিও সকাল থেকে তৎপরতার সাথে আবারো জল আটকাতে কাজ চালাচ্ছে সেচ দপ্তর।

আরও পড়ুন -  Birth Anniversary: প্রয়াত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী বিষ্ণু সেবক মিশ্রর ১০৪ তম জন্ম দিবস পালন

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,সুখা মরশুমের বদলে বর্ষার আগেই কাজ শুরু করেছে। আরে এই কাজ ঘিরে যতসব দুর্নীতি।নিম্নমানের কাজ ও আত্মসাতের ফলে সংকটের মুখে এখন রতুয়ার মানুষ। জল বাড়তে থাকলে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হবে এমন দুশ্চিন্তায় রয়েছে স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন -  বনশ্রী - সপ্তর্ষি সম্মান ২০২১ হয়ে গেলো আই,সি,সি,আর পেক্ষাগৃহে সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়ামে

এপ্রসঙ্গে জেলা সেচ দপ্তরের আধিকারিক বদরুদ্দীন শেখ জানান, নতুন মাটি থাকার কারণেই সমস্যা হয়েছে। দ্রুততার সাথে জল আটকাতে কাজ শুরু করা হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে।রিংবাঁধের জন্য ১ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকার করা হচ্ছে। পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে কাজ করা হবে এমনটাই জানিয়েছেন

আরও পড়ুন -  Science: ২০২১ সাল বিজ্ঞানে যুগান্তকারী কী দিয়ে গেল