মালদায় তৃণমূল যুব কংগ্রেস নেতার দাদাগিরি

Published By: Khabar India Online | Published On:

  সুমিত ঘোষ, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, মালদাঃ   এক দম্পতি কাছ থেকে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা দাবি করার অভিযোগ। ওই দম্পতির স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে
শহরের এক যুব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। পাল্টা ওই যুব তৃণমূল নেতার দাবি ওই দম্পতি প্রতারক। তার কাছ থেকে দু লাখ 45 হাজার টাকা প্রতারণা করেছেন। সেই টাকা চাওয়ায় তাকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ফোনে জেলা সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূরকে ধরা হলে তিনি জানান
অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দলীয় স্তরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম শুভ্রদীপ দাস ওরফে বাপি দাস। চন্দন রায় নামে এক যুবক অভিযোগ করেন চাকুরী সূত্রে ও বৈবাহিক সূত্রে কয়েক বছর আগে তিনি মালদায় আসেন। শহরের ফুলবাড়ি এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নেন। সেখানেই স্ত্রী আজকে নিয়ে থাকতে শুরু করেন। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। স্ত্রীর ইচ্ছে অনুযায়ী এলাকার এক যুবকের সাথে পার্টনারশিপে রেস্টুরেন্টের ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু ব্যবসাসংক্রান্ত বিবাদের জেরে তাদের পার্টনারশিপ ভেঙে যায়। আর এরপরই সমস্যা মেটাতে অবতীর্ণ হয় ময়দানে বাপি দাস। অভিযোগ বাপি দাস তাদের কাছ থেকে সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য প্রচুর টাকা নেয়। আরো দু লক্ষ টাকা দাবি করে। সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় চন্দন রায়ের মোটরবাইক কেড়ে নেয়। তার দোকানের সামগ্রী ছিল তাও বাজেয়াপ্ত করে নেয়। সমস্যা মেটানোর নাম করে শহরের একটি বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে গিয়ে তার স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়। তাতে রাজি না হওয়ায় ওই দম্পতিকে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। এরপর থেকেই আতঙ্কে মালদা ছাড়া হয়ে গিয়েছেন ওই দম্পতি। বারবার ইংরেজবাজার থানার দ্বারস্থ হয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।
যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বাপি দাস সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
বিজেপির মালদা জেলার সহ-সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন কারোর কোন ব্যবসা সংক্রান্ত বিভাগ থাকলে আইন-আদালত রয়েছে। পশ্চিম বাংলায় তৃণমূলের একটা কালচার হয়ে গেছে যে কোন বিষয়ে নাক গলিয়ে তোলাবাজি করা।
তৃণমূলের মালদা জেলার সাধারণ সম্পাদক সময় বসু বলেন অভিযোগ করেছে। পুলিশ যেমন তদন্ত করবে দলও তদন্ত করবে। তদন্তে উঠে আসবে সেই মতো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই বিষয়ে ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি মান্তু ঘোষ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনিও পুলিশ প্রশাসনের কাছে আর্জি করেছেন বিষয়টি তদন্ত করার।

আরও পড়ুন -  Parimoni: ‘আমাদের শারীরিক এবং মানসিক কোনো ঘনিষ্ঠতা নেই’: পরীমনি